• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

তবু বন্ধু ভালোবেসো একবার

You are here: Home / লাইফস্টাইল / তবু বন্ধু ভালোবেসো একবার

জীবনে, যাপনে ব্যস্ততা যাদের অফুরান, বন্ধুত্ব তাদের কাছে প্রাণখুলে শ্বাস নেবার এক স্থান। অন্যদিকে বন্ধুত্বের অসংখ্য আড্ডা আর ভাললাগা নিয়ে যাদের দিনমান কেটে যায়, তাদের কাছে জীবনের বাস্তবতাটাই যেন এক শঙ্খনীল কারাগার। তবু বন্ধুত্ব আসে আমাদের কংক্রিটের স্তুপে ভরা শহরে। বন্ধুত্ব তার গান শুনিয়ে যায় গ্রামের মেঠোপথে। বন্ধুর পথে আলোকিত দিনের স্বপ্ন দেখায় বন্ধুরা। আবার হাসি-কান্নার ভাগাভাগিতে বন্ধুরাই শুনিয়ে যায় আশা জাগানিয়া সময়ের গান। বন্ধু দিবসকে সামনে রেখে চিরচেনা এই বন্ধুত্ব নিয়েই লিখেছেন রাশেদুল হাসান শুভ

‘ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখো আমার এ হাড়/ ছুঁয়ে ছুঁয়ে শেখো একি/ চোখ দিয়েছি প্রিয় বন্ধু/ সে চোখে দেখো পৃথিবীর রূপ একি/ তবু বন্ধু ভালোবেসো একবার/ যা ছিল সব দিয়েছি দেবার’- সিডি প্লেয়ারে ধীর লয়ে বেজে চলেছে কৃষ্ণকলির গান। আর অনুভূতির প্রতিটি কোণে যেন অন্য একটা শিহরণের ডাক শুনতে পাচ্ছে অবনী। আজ তার ছুটির দিন। আজ সারা দিনমান বাসায় থাকার দিন। আজ অলস মেঘের দিন। আজ রকিং চেয়ারে আয়েশ করে গান শোনার দিন। তবু অবনীর চিন্তার মাঝে কোথায় যেন একটা অস্থিরতা। তার কেবলই মনে হয়, আচ্ছা আজ সারাটা দিন কি বন্ধুত্বেরও দিন হতে পারতো না। হয়তো পারতো। কিন্তু হয় না। সময় তার হ্যামিলনের বাঁশি দিয়ে কোথায় যেন নিয়ে গেছে চেনা বন্ধুদের চেনা আড্ডাগুলোকে। এখন তাই ব্যস্ত সময় কাটে অফিসে, সংসারে। ছুটির দিনে বাইরে বেরুতে আলসেমী লাগে। বন্ধুর বাড়ির নেমন্তন্নে যাবার জন্য সময় বের করতেও হিসেবের ছক কষতে হয়। আর যান্ত্রিক জীবনে বন্ধুত্ব, আড্ডা বাঁধা পড়ে রয় ফেসবুক আর চ্যাটিং এর মাঝে।

বন্ধু কী খবর বল!

বন্ধুত্বের সমস্ত রং আর রূপ গায়ে মেখে যারা এখনো তুমুল আড্ডায় মেতে আছেন তাদের কাছে বন্ধুত্বের সকল উপমাই অর্থহীন। তাই বন্ধু দিবসে এরা কখনো দলছুট হয়ে ছুটে যান না হলমার্ক কিংবা আর্চিস এ। ই-কার্ড আর গ্রিটিংস এর ভিড়ে তাদের কখনো মনে করিয়ে দিতে হয় না বন্ধু দিবস নামে আপাত অর্থহীন একটা দিনের কথা। তবু এই পৃথিবীর অসংখ্য দিবস আর অর্থহীন আচার-উৎসবের মাঝে যদি বন্ধু দিবস নামে একটা দিবস এসেই যায়, ক্ষতি কী! যদি হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে একটি দিন এসে মনে করিয়ে যায় ফেলে আসা কোনো বন্ধুদিনের কথা তাহলে সেটিই বা দোষের কী। তাই আমরা গুটিকয় আধুনিক মানুষ, আধুনিকতার স্রোতে ভাসিয়ে দেয়া কিছু মানুষ এখনো ভালোবাসি এই দিবসের মাঝে আটকে যাওয়া বন্ধুত্বকে। ভালোবাসি বহুদিন আগের কোনো ফেলে আসা বন্ধুকে শুধাতে ‘বন্ধু, কী খবর বল?’

বন্ধুত্বের মাঝে কিন্তু

আসলে বন্ধু আর বন্ধুতা যাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী তারা একমুহূর্তেও জন্যও মন থেকে আড়াল করতে পারেন না বন্ধুদের। জীবনের সংকটে এরা ছুটে যান বন্ধুদের কাছে। আবার আনন্দ, উল্লাস কিংবা দিন শেষের অবসরেও এরা ভালোবাসেন বন্ধুত্বের কলতান শুনতে। বন্ধুত্বের পরিপূরক সম্পর্কের মাঝে এরা খুঁজে পান জীবনযাপনের ভিন্ন রস। অন্যদিকে যন্ত্রনগরে অবাক প্রহর কাটানো যে যন্ত্রমানুষেরা এরই মাঝে ভুলতে বসেছেন তাদের স্বর্ণালী বন্ধুত্বের প্রহরগুলোকে, তারাও কিন্তু ঠিকই মিস করেন তাদের বন্ধুদের। কিন্তু ‘যতদিন এই দেহে আছে প্রাণ’ ততদিন শুধু ‘মিস’ করার মাঝেই কেন আটকে থাকবে আপনার গর্ব করার মতো বন্ধুতাগুলো? কেন স্রেফ ফেসবুক এর স্ট্যাটাস পড়েই জানবেন বন্ধুর খবর! অচেনা ব্যস্ততার গন্ডি থেকে কেন আরেকটিবার এসে দাঁড়াবেন না চেনা বন্ধু সড়কে? হয়তো বলবেন, বন্ধুদের খবর তো নিতেই চাই কিন্তু সময় যে হয়ে ওঠে না। অথবা ঈর্ষাকাতর কেউ তার অভিমানের ঝাপি খুলে বলতে পারেন, ‘আমার খবর তো ওরা কেউ নেয় না। তাহলে আমি-ই বা কেনঃ’। আসছে দিনের বন্ধু দিবসে এই অভিমানগুলোকেই না হয় ছুটি দিন। বন্ধুর জন্য চমকদার কোনো গিফট না হোক, অন্তত একটিবার তার কথা মনে করে ফিরে যান বন্ধুবৎসল কোনো আড্ডায়। যেখানে বন্ধুত্বের রঙ ব্যস্ততার আঁচরে দিনের পর দিন ধূসর হয়ে পড়ছে, সেখানে নতুন এক পড়ত রঙ চড়ানোর দায়িত্বটাও না হয় তুলে নিন নিজের কাঁধে। আর যারা গ্রামের টি-স্টল কিংবা কলেজ ক্যাম্পাস কিংবা করিডোরগুলোকে প্রতিদিনই মুখরিত করে রাখছেন নানা রঙের বন্ধুতায়, তারাও সকল স্বার্থ আর সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে ভালোবাসতে শিখুন বন্ধুকে।

গল্পের শেষে

রকিং চেয়ারটা ছেড়ে যেন অনেকটা মন্ত্রমুগ্ধের মতোই উঠে দাঁড়ায় অবনী। চিন্তার চারদেয়ালে হঠাৎ করেই কড়া নাড়ে ফেলে আসা দিনের কিছু বন্ধুর মুখ। মনে পড়ে রাতুল, রকিব, আরিফ, সুজানা আর সাইফি’র মতো অসংখ্য বন্ধুর কথা। কোথা থেকে যেন রাজ্যের স্মৃতি আর প্রশ্ন এসে ভর করে মনের অচীন কোণে। আচ্ছা রকিবটা কি আগের মতোই শুকনো আছে? গেল মাসে আরিফ এর কাছে ওর বিদেশ যাবার কথা শুনেছিল অবনী। পাগলটা শেষ পর্যন্ত যাচ্ছে তো? আর আরিফটাই বা কেমন আছে ওর ভালোবাসা আর লেখালেখি নিয়ে। ওদের সাভারের বাসা, বাসার সামনের গাছ-গাছালি, ছুটির দিনে বেড়াতে যাওয়া আর ওর মায়ের হাতের রান্নার কথা এখনো জীবন্ত মনে হয় অবনীর কাছে। সুজানা আর সাইফিকেও ফোন করা হয় না কতদিন! এসবকিছু ভাবতে ভাবতেই একসময় মুঠোফোনে আরিফের নম্বরে ফোন দেয় অবনী। জানা হয় অনেক কিছু। জানা হয়, একদিন যার রান্নার লোভে ওরা তিন বন্ধু সাভার অবদি ছুটে যেতে কার্পণ্য করতো না সেই আরিফের মা মারা গেছেন গেল সপ্তাহে। আরিফটাও কেমন যেন অভিমানী হয়ে গেছে! এসব কথা শুনতে ভাল লাগে না অবনীর। তার চোখের কোণে একফোঁটা পানি চিকচিক করে ওঠে। আর স্মৃতিতে ভাসতে থাকে ফেলে আসা বন্ধুদিনের কথা।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ২৮, ২০০৯

July 27, 2009
Category: লাইফস্টাইলTag: আধুনিকতা, ফেসবুক, বন্ধু

You May Also Like…

বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললে কী করবেন

গর্ভাবস্থায় কী কী ওষুধ খেতে পারব আর কী কী খেতে পারব না

রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর আর ঘুম না এলে

শামছুন্নাহার নাহিদ

মা হওয়ার পর ওজন বেড়েছে, এখন কমাতে কী করব

Previous Post:তুমি বন্ধু কেমন বন্ধু
Next Post:জুতা দুর্গন্ধ

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top