• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

ডেন্টাল ফ্লুরোসিস

December 10, 2007

ডেন্টাল ফ্লুরোসিসঃ প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা

আমাদের দেশের অধিকাংশেরই দাঁতে কম-বেশি সমস্যা দেখা যায়। তবে দাঁতে সমস্যার ক্ষেত্রে দেখার বিষয় যে, দাঁত কিন্তু হঠাৎ করেই ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা অসুস্হ হয়ে পড়ে না। অসচেতনতা, সঠিক পরিচর্যা না করা ও অজ্ঞতার কারণে আমরা নিজেরাই দাঁতকে সমস্যাজর্জরিত করে ফেলি। দাঁতের এমন একটি সমস্যার নাম হচ্ছে ডেন্টাল ফ্লুরোসিস। নাম থেকে বোঝা যায় যে, এটি ফ্লোরাইড জাতীয় পদার্থের ব্যবহার সম্পর্কিত সমস্যা।

আমরা বাজারে রকমারি টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে কিংবা টুথপেস্ট কেনার সময়ও ফ্লোরাইড জাতীয় কথাটি বেশি শুনে থাকি। ফ্লোরাইড হচ্ছে এক ধরনের খনিজ পদার্থ, যা মাটি, পাহাড়, পানি ও সামান্য কিছু খাদ্য এবং আমাদের দাঁতের বাইরের সাদা অংশ অর্থাৎ এনামেলে থাকে। ফ্লোরাইড আমাদের অস্হায়ী এবং স্হায়ী উভয় ধরনের দাঁতকে মজবুত করার পাশাপাশি দন্ত ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। এ থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যায়, আমাদের দাঁতে স্বাভাবিকভাবেই ফ্লোরাইড থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে দাঁতে এ ফ্লোরাইডের পরিমাণ সমান থাকে না। আর যাদের দাঁতে ফ্লোরাইডের পরিমাণ কম তাদের অতিরিক্ত ফ্লোরাইড ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই ফ্লোরাইডের ব্যবহার হয়ে যায় তেলো মাথায় তেল দেয়ার মতো। আর তখনই দেখা দেয় বিপত্তি। দাঁতে অতিরিক্ত ফ্লোরাইডের ব্যবহারে আমরা আক্রান্ত হয়ে থাকি ডেন্টাল ফ্লুরোসিসে।

ফ্লুরোসিসের কারণে দাঁতের বাইরের অংশ অর্থাৎ এনামেলে অসংখ্য ছিদ্রের সৃষ্টি হয় এবং দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে ফ্লুরোসিসকে হাইপোমিনারালাইজেশনও বলা হয়ে থাকে। ফ্লুরোসিসে আক্রান্ত দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়। এমনকি দাঁতে সাদা দাগ থেকে শুরু করে কালচে বাদামি কিংবা কালো দাগ পড়তে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত অবস্হাটি হচ্ছে দাঁতের এনামেলে ছিদ্র হওয়া। কিন্তু এটি যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা যায়, তবে দেখা দিতে পারে টুথ ডিকে বা দন্তক্ষয় রোগসহ নানাবিধ সমস্যা। প্রথম থেকেই ব্যবস্হা নিয়ে দাঁতটি রাখা যায়। তা না হলে অনেক সময় দাঁত ফেলে দেয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে। বাচ্চাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ একটু বেশি। তাই আপনার শিশু কোন টুথপেস্ট ব্যবহার করছে, কী পরিমাণে ফ্লোরাইড ব্যবহার করা দরকার তা অবশ্যই একজন ডেন্টাল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া উচিত। আবার লবণ, পানি ও ফ্লোরাইডযুক্ত খাদ্য গ্রহণেও সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যদি প্যাকেটজাত খাবার বেশি খেয়ে থাকেন তবে প্যাকেটের গায়ে দেখে নিন খাবারে ব্যবহৃত ফ্লোরাইডের পরিমাণ কতটুকু।

সবার আগে যে বিষয়টি বুঝতে হবে তা হলো-ডেন্টাল ফ্লুরোসিস প্রতিরোধ করা খুবই সহজ। কিন্তু চিকিৎসা কিংবা প্রতিকার করতে গেলে অনেক সময় চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল হয়ে পড়ে। তাই কোনোভাবে আপনি যদি বুঝতে পারেন, আপনার দাঁতটি ফ্লুরোসিসে আক্রান্ত, তবে দেরি না করে ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ মতো চিকিৎসা করিয়ে নিন।

উৎসঃ দৈনিক আমারদেশ, ১০ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডা. আওরঙ্গজেব আরু
কনসালট্যান্ট, ইলাহী ডেন্টাল কেয়ার
মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।

Previous Post: « মুখের জ্বালাপোড়ায় কী করবেন
Next Post: শিশুদের নার্সিং, বোতল ক্যারিজে করণীয় »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top