• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

ছানির চিকিৎসায় ম্যানুয়াল ফ্যাকো

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / ছানির চিকিৎসায় ম্যানুয়াল ফ্যাকো

ঘটনা
স্বল্প আয়ের চিত্রশিল্পী তিনি। মফস্বলে থাকেন। দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। চোখের চিকিৎসক দেখিয়ে জানতে পেরেছেন, চোখে ছানি পড়েছে। অস্ত্রোপচার করাতে হবে।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, ‘ফ্যাকো করালে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাগবে।’ তাঁরা আরও বলেছেন, ‘ইদানীং ছানির অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এক ধরনের লেন্স বেরিয়েছে, যা ব্যবহার করলে চশমার প্রয়োজনই পড়ে না! তবে এতে খরচ পড়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।’ সেই বিশেষজ্ঞ (!) চিকিৎসকের মুখের দিকে বি্নয়ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন তিনি। এ দেশেও ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মানুষ ছানির অস্ত্রোপচার করায়!

চোখে অপ্রত্যাশিত ছানি পড়ার জন্য দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তিনি। এবার কৌতূহলভরে চিকিৎসকের কাছে জানতে চান, ‘সত্যই কি ছানির অস্ত্রোপচারের পর কোনো চশমা লাগে না?’ এবার চিকিৎসক কথা ঘুরিয়ে বলেন, ‘না, তেমন একটা লাগে না।
তবে যারা পড়াশোনা করে বা নিকটদৃষ্টির কাজ করে, তাদের সামান্য পাওয়ারের চশমা লাগে।’ এবার চিত্রশিল্পী বিভ্রান্তিতে পড়েন। একটু আগেই চিকিৎসক বলছিলেন, ‘কোনো চশমাই লাগে না’, এখন বলছেন ‘লাগে’; তাহলে কোনটা সঠিক? তাঁর সাহস হয় না চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে বিষয়টি আরও খোলাসা করে নিতে। এ ছাড়া নিজের সামর্থেøর বিষয়টিও মাথায় আসে। তিনি ভেবেছিলেন, হাজার দুয়েকের ভেতর চোখের চিকিৎসা সম্পন্ন করবেন; সেখানে ২০ হাজার টাকা জোগাড় করা তাঁর পক্ষে দুরূহ।

ছানির অস্ত্রোপচারের জন্য এত টাকা আসলেই কি প্রয়োজন? এ ছাড়া বেশি টাকা দিয়ে অস্ত্রোপচার করালেই চোখে ভালো দেখবেন-এ ধরনের ধারণা কি ঠিক? আমাদের দেশে ইদানীং চিকিৎসাসেবা যেন পণ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। বাজার-অর্থনীতির অনুষঙ্গ চিকিৎসাজগতের দুষ্ট গ্রহের মতো উপস্থিত। গণমাধ্যমে প্রচারিত টক শো, পত্রিকার বিজ্ঞাপন ইত্যাদি থেকে ‘ফ্যাকো’ শব্দটি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। চোখের চিকিৎসকেরাও তাঁদের ডিগ্রির সঙ্গে ‘ফ্যাকো সার্জন’ শব্দযুগল জুড়ে দিয়েছেন। ছানির অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রচারণায় মানবিক দৃষ্টিকোণে রোগীর প্রয়োজনের বিষয়টি দারুণভাবে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। ‘ফ্যাকো’ (Phaco) শব্দের অর্থ লেন্স। অংশীদারের চোখের ভেতরের লেন্সের গ্রিক নাম হচ্ছে ‘ফ্যাকো’।

ফ্যাকো সার্জন সেই হিসেবে চোখের লেন্সের সার্জন। স্বাভাবিক অবস্থায় চোখের ভেতরের লেন্স স্বচ্ছ থাকে। এই লেন্সের অস্বচ্ছ অবস্থাকে ছানি বলা হয়। সে হিসেবে ছানির অস্ত্রোপচারের চিকিৎসক ‘ফ্যাকো সার্জন’ হিসেবে অভিহিত হতে পারেন।

ছানির অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ছানিটাকে গুলিয়ে বের করে আনার নাম ফ্যাকোইমালসিফিকেশন। যন্ত্রের মাধ্যমে ছানির অস্ত্রোপচারের এ পদ্ধতি যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁরা নিজেদের ‘ফ্যাকো সার্জন’ হিসেবে পরিচিত করেছেন; আর যন্ত্রটি ‘ফ্যাকো মেশিন’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। এই যন্ত্রের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে এ অস্ত্রোপচারকে সর্বাধুনিক পদ্ধতি আখ্যা দিয়ে আসছেন। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ফ্যাকোইমালসিফিকিশেন যে আধুনিক, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একে যেভাবে উপস্থাপন করে মুনাফা অর্জনের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য নয়।

কেননা ছানির অস্ত্রোপচারের অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া ফ্যাকোইমালসিফিকেশনই একমাত্র সেলাইবিহীন অস্ত্রোপচার নয়, সেলাইবিহীন বিকল্প পদ্ধতিও রয়েছে। ভারতসহ অনেক দেশেই সেই পদ্ধতি ম্যানুয়াল ফ্যাকো নামে পরিচিতি। এ পদ্ধতি ওইসব দেশে ব্যবহার করে অসংখ্য রোগীর দৃষ্টি ফেরানো গেছে। আমাদের দেশেও এ পদ্ধতিতে ছানির অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো প্রচার নেই। ভারতের বিশ্বখ্যাত অরবিন্দ চক্ষু হাসপাতালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাকো সার্জারিতে প্রতি অস্ত্রোপচারে যন্ত্রপাতির ব্যয় এক হাজার ২০০ রুপি, সেখানে ম্যানুয়াল ফ্যাকোতে ব্যয় মাত্র ৪৬ রুপি।

এ পদ্ধতি কথিত ফ্যাকো সার্জারির মতো সেলাইবিহীন, দৃষ্টি-প্রদায়ক। এটি উন্নয়নশীল বিশ্বে ছানির চিকিৎসায় খুলে দিয়েছে নতুন দিগন্ত।
এ পদ্ধতি ফ্যাকো সার্জারির চেয়ে তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ। ফ্যাকো সার্জারিতে যেসব জটিলতা হয়ে থাকে, ম্যানুয়াল ফ্যাকোতে তা ওই মাত্রায় হয় না। এ পদ্ধতিতে সরকারি হাসপাতালে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে সার্জারির পুরো ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব, যা ইনস্ট্রুমেন্টাল ফ্যাকো সার্জারিতে চিন্তাই করা যায় না।

বাংলাদেশে ম্যানুয়াল ফ্যাকো সার্জারি লাগসই প্রযুক্তি, যা দেশের লাখ লাখ ছানিজনিত অন্ধজনের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ফ্যাকো সার্জারির জন্য জনপ্রতি যে ব্যয় হয়, তা দিয়ে ৩০ জন ছানি রোগীর চিকিৎসা এ পদ্ধতিতে সম্ভব।

অর্থাৎ একটি ফ্যাকো সার্জারির ব্যয় দিয়ে ৩০ জন পরিবারপ্রধানের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ৩০টি পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব। এই সাধারণ তথ্যটি মানুষের কাছে এত দিনে পৌঁছানোটা কি ঠিক হয়েছে?

শেষ কথা

শুরুতে উল্লিখিত রোগীর চোখে ম্যানুয়াল ফ্যাকো করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে সব মিলিয়ে এক হাজার টাকার অস্ত্রোপচার করিয়ে পূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে ঘরে ফিরেছেন তিনি। এত অল্প টাকায় যে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব, তা কিছুদিন আগেও ছিল তাঁর ধারণার বাইরে। আসুন না, সবাই মিলে এ রকম অসংখ্য রোগীর দৃষ্টি ফেরানোর কাজে শামিল হই!

——————–
ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম
চক্ষু বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম আলো, ১২ মার্চ ২০০৮

March 12, 2008
Category: স্বাস্থ্য সংবাদTag: চোখ, দৃষ্টিশক্তি, সার্জারি

You May Also Like…

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?

ব্যায়ামে আলসেমি কাজ করলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুন, মিলবে সমান উপকার

মুখের দুর্গন্ধ কি শুধু মুখ থেকেই আসে?

জিম শুরু করার ৭ উপায়

Previous Post:পঙ্গু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য চাই পরিচর্যা
Next Post:Move to combat HIV/AIDS

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top