• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

মায়ের শাল দুধে শিশুর যত উপকারিতা

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / মায়ের শাল দুধে শিশুর যত উপকারিতা
মায়ের শাল দুধে শিশুর যত উপকারিতা

ডেলিভারি বা সিজারের পর বাচ্চাকে নিয়ে মায়েরা একটা স্বাভাবিক সমস্যা থাকে, যে বাচ্চা দুধ পাচ্ছে না।

এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।

বাচ্চা জন্মের পর সাধারণত যে মেইন মিল্ক লেট ডাউন হয়, সেটা হচ্ছে বাচ্চার জন্মের তিনদিন পর। তাহলে প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিন যে শাল দুধ পাওয়া যায় মায়ের, সেটাই বাচ্চার জন্য উপকারী। বাচ্চার যেটুকু পুষ্টির দরকার, এই শাল দুধ থেকে সে পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়। সুতরাং বাচ্চার জন্মের প্রথম দুই দিন সেই শাল দুধটাই বাচ্চাকে দিতে হবে।

শাল দুধটা পরিমাণে কম থাকে, তবে এটা ধবধবে সাদা থাকে না। সেজন্য মায়েরা একটু বিভ্রান্ত হন। এই দুধ বাচ্চার জন্য কতটা উপকারী হবে, বাচ্চার পেট ভরবে কিনা, এসব ব্যাপারে।

শিশু মায়ের গর্ভে যে সুন্দর পরিবেশে ছিল, সেই সুন্দর পরিবেশ থেকে যখন দুনিয়াতে আসে, তখন দুনিয়ার এইসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সব কিছুর বিরুদ্ধে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে, মায়ের বুকের এই শাল দুধ।

তারপর বাচ্চার ইলেকট্রোলাইট দরকার হয়, পানির দরকার হয়, এসব কিছুই শাল দুধ থেকে পাওয়া যায়। এছাড়া বাচ্চার যে পরিমাণ গ্লুকোজ দরকার প্রোটিন দরকার সেটাও শাল দুধে থাকে।

সুতরাং দুধ আসছে না বলে যে সকল মায়েরা অস্থির হয়ে যায়, যে সকল মায়েরা নতুন মা হন তারা তো আসলে বুঝেন না। এক্ষেত্রে পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে যারা বয়স্ক আছেন কিংবা যারা এই সময়টা পার করে এসেছেন তারা নতুন মায়েদের কাউন্সেলিং করবেন। তারা নতুন মায়েদের বোঝাবেন যে, প্রথমে যে দুধ আসে সেটাই বাচ্চার জন্য দরকার, এখান থেকেই বাচ্চা সব ধরনের পুষ্টি পাবে।

কারণ বাচ্চা এখন মাত্র দুনিয়াতে এসেছে, সে যে এখনই খুব বেশি খাবে তা তো নয়। এই বাচ্চার জন্য যতটুকু খাবার দরকার ততটুকু খাবারই আল্লাহ মায়ের কাছে দিয়েছেন। আল্লাহ যদি এর থেকে বেশি দিত এবং সেটা যদি বাচ্চা না খেত, তখন দেখা যেত যে মায়ের বুকে ব্যথা হতো, মায়ের কষ্ট হতো। সুতরাং বাচ্চার জন্মের প্রথম দুইদিন যতটুকু দুধ প্রয়োজন, ততটুকু দুধই বাচ্চার জন্য আসে। এটাই বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। এটা খাওয়ার পরে বাচ্চার যে পুষ্টির প্রয়োজন, তার সবটুকু পূরণ হয়।

তবে কিছু আছে এর থেকে আলাদা। এক্ষেত্রে যেসব মায়েদের আনকন্ট্রোলড ডায়াবেটিস থাকে, বাচ্চা অনেক বড় থাকে, সেক্ষেত্রে হয়তোবা আরেকটু বেশি পুষ্টির প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাচ্চার ওজনের উপর ভিত্তি করে, বাচ্চার বাড়তি খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেটা শতকরা খুব কমই হয়ে থাকে। যদি দরকার হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সাধারণত ডেলিভারির পর প্রথম দুই দিন যে শাল দুধ মায়ের থেকে পাওয়া যায় সেটাই বাচ্চার খাবার হিসেবে যথেষ্ট।

মায়ের দুধ পানের সময় বাচ্চা মায়ের নিপল বা বোটা চুষলে মায়ের শরীরে এক ধরণের সুখানুভূতি সৃষ্টি হয়। বাচ্চার এ স্টিমুলেশন বা সুখানুভূতি মায়ের মস্তিষ্কে যায়। ফলে মায়ের শরীর থেকে এক ধরনের হরমোন তৈরি হয়। যার নাম প্রোল্যাকটিন। প্রোল্যাকটিনের কাজ হলো মায়ের বুকে দুধ তৈরি করা। বাচ্চা যত বুকের দুধ টানবে তত মায়ের সুখানুভূতি তৈরি হবে, তত প্রোল্যাকটিন উৎপাদন হবে। ফলে মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ বাড়বে।

বাচ্চা কান্নাকাটি করলে অনেকে মনে করেন বাচ্চা দুধ ঠিকমতো পাচ্ছে না। তখন বাচ্চাকে মায়ের দুধ না দিয়ে কৌটার দুধ দেন। মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে বাচ্চার কিন্তু কিছুটা পরিশ্রম করতে হয়। এতে বাচ্চার ভালো হয়। তার মাঢ়ি, চোয়াল গঠিত হয়। কৌটার দুধ দিলে বাচ্চার কষ্ট করতে হয় না। তাই সে এক সময় মায়ের দুধ টেনে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাচ্চা না দুধ টানলে মায়ের সুখানুভূতি হয় না এবং হরমোন তৈরি হয় না। ফলে মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কমে যায়।

আরেকটা জিনিস আমার যেটা মনে হয় যে, মাকে খুব অস্থির করে রাখা হয়, বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে না, না খেতে পারলে বাচ্চার কি হবে, তখন নতুন মায়েরা খুব প্যানিক হয়ে যায়। এই জিনিসটা কিন্তু সম্পূর্ণ একটা সার্কেল বা রিদমের ব্যাপার।

বাচ্চা যখন মায়ের বুকে সাক করবে, সেখান থেকে রিফ্লেক্স যাবে ব্রেইনে, ব্রেইন থেকে হরমোন আসবে, দুধ তৈরি হবে এবং নিপল এর মাধ্যমে বাচ্চার কাছে যাবে। যখনই সেখানে হরমোন, নার্ভাল সিস্টেম সবকিছু ইনভলভ থাকে, তখন কিন্তু একটা মাকে পরিবারের সদস্যরা সাপোর্ট দিয়ে স্ট্রেস-ফ্রি রাখতে হবে। মাকে কোন স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যেতে দেয়া যাবে না।

এমনিতেই সে নতুন মা হয়েছে, জীবনের একটা নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে। সবকিছুতে তার মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে। তার মধ্যে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনরা যদি তাকে স্ট্রেস দিতে থাকে, তখন এই স্ট্রেসফুল কন্ডিশন নতুন মাকে অনেকখানি বাধা দেয়। এটা লাক্টেশন ফেইলিওরের অনেকখানি কারণ।

মায়েদের সাহস দিতে হবে এসময়। মা কে বোঝাতে হবে যে এই বিষয়গুলো স্বাভাবিক। যদি অস্বাভাবিক কিছু হয় তাহলে আমরা ডাক্তার, নার্স তাদের হেল্প নিয়ে ইনশাআল্লাহ এ বিষয়গুলো মোকাবেলা করা সম্ভব।

এন এইচ, ৩০ আগস্ট



স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-08-30 18:07:49
Source link

August 30, 2021
Category: স্বাস্থ্য সংবাদ

You May Also Like…

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?

ব্যায়ামে আলসেমি কাজ করলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুন, মিলবে সমান উপকার

মুখের দুর্গন্ধ কি শুধু মুখ থেকেই আসে?

জিম শুরু করার ৭ উপায়

Previous Post:পোশাকের রঙে প্রাধান্য পাক নীলজন্মাষ্টমীর সাজ পূরণে সাহায্য করবেন এই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা, আজ কী পরবেন দেখে নিন চট করে
Next Post:রোজ কতক্ষণ ঘুমোবেন? ঠিক করবে আপনার বয়স…রোজ কতক্ষণ ঘুমোবেন? ঠিক করবে আপনার বয়স...

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top