• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

সূর্যরশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষা – DesheBideshe

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / সূর্যরশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষা – DesheBideshe
সূর্যরশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষা - DesheBideshe

সূর্যরশ্মি ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূর্যরশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তাকে ফটোড্যামেজ বলে। ত্বক সূর্যরশ্মিতে কালচে, শুষ্ক, বলিরেখাপূর্ণ হয়ে ওঠে। অল্প বয়সেও সূর্যরশ্মির প্রভাবে ত্বক বয়স্ক দেখায় এবং নানা রকম দাগ ও ত্রুটিযুক্ত হয়।

সূর্যরশ্মি নানা রকম হয়। ইনফ্রারেড রে, আলট্রাভায়োলেট রে এবং আরো অনেক রকম। মূলত আলট্রাভায়োলেট রশ্মি আমাদের ত্বকের ক্ষতি বেশি করে। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি দুই প্রকার।

আলট্রাভায়োলেট-এ রশ্মি
এটা দীর্ঘ তরঙ্গের রশ্মি। আলট্রাভায়োলেট-এ রশ্মি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এটা ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বক শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে; ত্বক কালচে হয়ে যায়, ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন ফাইবারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ইউভি-এ রশ্মি ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে এবং পাতলা কাপড় ভেদ করে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ইউভি-বি রশ্মি
এটি ছোট তরঙ্গের রশ্মি। ত্বকের রোদে পোড়া ভাবের জন্য এ রশ্মি দায়ী। গরমকালে এবং দিনের মধ্যভাগে এ রশ্মি বেশি সক্রিয় থাকে এবং ত্বকের ক্ষতি করে।

আলট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকের যেসব ক্ষতি হয় :
১। ত্বক পাতলা হয়ে যায়।

২। ত্বকের কোষের ক্ষতি হয়।

৩। ডার্মিসের কোলাজেন ও ইলাস্টিন ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৪। ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়, ত্বক কালচে হয়ে যায়।

৫। ত্বকে বলিরেখা পড়ে এবং ত্বক কুঁচকে যায়।

৬। ত্বকের মসৃণতা কমে যায়।

৭। ত্বকের টানটান ভাব কমে যায়।

৮। ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ, অ্যালার্জি ইত্যাদি বেশি হয়।

ত্বক যখন আলট্রাভায়োলেট রশ্মির সম্মুখীন হয়, তখন ত্বকে ফ্রি র‌্যাডিকেল তৈরি হয়। আর এ ফ্রি র‌্যাডিকেল ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ত্বক সূর্যরশ্মির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না, এটা বোঝার জন্য প্রথম লক্ষণ ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাওয়া। তার পর কালচে হয়, টানটান ভাব কমে যায়, কুঁচকে যায় এবং বলিরেখা পড়ে।

ত্বকের এপিডার্মিসে ল্যাঙ্গারহান্স কোষ থাকে। এ কোষ ত্বককে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এমনকি সূর্যরশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ওজোনস্তর কমে যাওয়ায় সূর্যরশ্মি আরো গভীরভাবে আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে এবং ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সানস্ক্রিনের ব্যবহার
সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বককে সূর্যরশ্মির কারণে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। শীত, গ্রীষ্ম যেকোনো ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সানস্ক্রিন ত্বকে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করার সময় সানস্ক্রিন তার ক্ষতিকর অংশটুকু শুষে নেয়। আর সানব্লক আলট্রাভায়োলেট রশ্মিকে ত্বকে প্রবেশ করতেই দেয় না। আয়না যেমন সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করে, সানব্লক ঠিক সেভাবে কাজ করে। বর্তমানে সূর্যরশ্মির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যেসব ক্রিম পাওয়া যায়, তাতে সানস্ক্রিন ও সানব্লক—এ দুয়ের সংমিশ্রণ থাকে। সানস্ক্রিনে সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর (SPF) বা সূর্য প্রতিরোধক উপাদান থাকে। সানস্ক্রিনে প্যারা অ্যামাইনো বেনজয়িক এসিড (PABA) থাকে। তবে এটি ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে বলে এখন কম ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া সানস্ক্রিনে উপাদান হিসেবে থাকে পেডিমেট, সিনামেট, এনথ্রালিনেটস ও স্যালিসাইলেটস। অভিজাত সানস্ক্রিনে অক্সিবেনজোন কিংবা বেনজোফেনোনস থাকে এবং এরা আলট্রাভায়োলেট-এ রশ্মিকে শুষে নেয়। আলট্রাভায়োলেট-এ রশ্মির জন্য সবচেয়ে ভালো ‘পারসন ১৭৮৯’ ও ‘অ্যাভোবেনজোন’।

জিঙ্ক অক্সাইড আলট্রাভায়োলেট-এ ও আলট্রাভায়োলেট-বি দুই রকম রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এ জন্যই ক্রিকেটারদের কাছে এটি খুবই প্রিয়। বর্তমানে জিঙ্ক অক্সাইড মাইক্রোনাইজড করে পাওয়া যায় ফলে ব্যবহারে সুবিধা হয়। এ ছাড়া টাইটারিয়াম ডাইঅক্সাইড প্রতিরক্ষক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি জিঙ্ক অক্সাইডের তুলনায় কম কার্যকর। বর্তমানে সানস্ক্রিনগুলোতে অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে জিঙ্ক অক্সাইডের মতো বাহ্যিক আবরণ তৈরিকারী উপাদানও ব্যবহৃত হয়। সানস্ক্রিনগুলোতে বর্তমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে ত্বক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এবং ত্বক বুড়িয়ে যায় না। ভিটামিন-এ, সি ও ই হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সানস্ক্রিন ব্যবহারে তাই ত্বক তরতাজা, টানটান ও সুস্থ থাকবে।

সানস্ক্রিন ব্যবহারবিধি
১। এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন, যার SPF অন্তত ৩০। SPF যত বেশি হবে, সানস্ক্রিন তত কার্যকর হবে।

২। সানস্ক্রিনে যাতে ইউভি-এ ও ইউভি-বি দুটি থেকেই রক্ষা হয়, সেদিকে লক্ষ রাখবেন।

৩। রোদে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ত্বকে লাগাবেন, যাতে ত্বকে সানস্ক্রিন শোষিত হওয়ার পর ইউভি রশ্মি আপনার ত্বকে লাগে এবং ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

৪। সানস্ক্রিন শুধু মুখে নয়, হাত, গলা এবং শরীরের যেসব জায়গা কাপড়ে ঢাকা নয়, সেসব জায়গায় লাগাবেন। যথেষ্ট পরিমাণ সানস্ক্রিন লাগানো প্রয়োজন। একজনের প্রতিবারে এক আউন্স সানস্ক্রিন প্রয়োজন হবে, যদি সে যথাযথভাবে ব্যবহার করে। রোদে থাকলে বা বাইরে থাকলে অবশ্যই প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন লাগাবেন।

৫। বিজ্ঞাপনে দেখা যায় পানি কিংবা ঘামে নষ্ট হয় না সানস্ক্রিন। তবুও মুখ ধুলে এবং ঘামলে আবার সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।

৬। ঠোঁটেও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। সানস্ক্রিন ঠোঁটে না লাগালে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। মুখের ত্বকের মধ্যে ঠোঁটই সবচেয়ে বেশি সূর্যরশ্মিতে আক্রান্ত হয়।

সানস্ক্রিন ছাড়াও সূর্যরশ্মি প্রতিরোধের কিছু উপায় :
১। চোখে সানগ্লাস পরুন। ফ্যাশনের জন্য নয়, চোখকে ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষার জন্য। চোখে ছানি পড়া এবং চোখের চার পাশে কুঁচকে যাওয়া রোধ করতে প্রতিদিন বের হওয়ার সময় সানগ্লাস পরুন।

২। সরাসরি রোদে না দাঁড়িয়ে ছাউনিতে দাঁড়াবেন।

৩। যথাযথ কাপড় পরে রোদে বের হবেন। সুতি ও হালকা রঙের কাপড় পরবেন।

এস সি



স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-16 12:41:44
Source link

July 16, 2021
Category: স্বাস্থ্য সংবাদ

You May Also Like…

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?

ব্যায়ামে আলসেমি কাজ করলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুন, মিলবে সমান উপকার

মুখের দুর্গন্ধ কি শুধু মুখ থেকেই আসে?

জিম শুরু করার ৭ উপায়

Previous Post:এক সপ্তাহে দূর করুন ব্রণ!এক সপ্তাহে দূর করুন ব্রণ!
Next Post:ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলে ভুগছেন? আর্য়ুবেদিক এই ঘরোয়া টোটকায় মুক্তি পান সহজেই!ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলে ভুগছেন? আর্য়ুবেদিক এই ঘরোয়া টোটকায় মুক্তি পান সহজেই!

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top