• Skip to main content
  • Skip to secondary menu
  • Skip to primary sidebar

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • হেলথ টিপস
    • সমস্যা ও সমাধান
    • খাদ্য ও পুষ্টি
    • লাইফস্টাইল
    • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • ১৮+
  • নারীর স্বাস্থ্য
  • শরীরচর্চা
  • রোগ
  • অঙ্গ-প্রতঙ্গ
  • উচ্চতা-ওজনের অনুপাত

বয়স্কদের কোমর ব্যথা

January 6, 2007 Leave a Comment

কোমরে ব্যথার কারণ অনেক। নড়াচড়া বা চলাফেরা করার সময় কোমরের অবস্থান সঠিক না থাকলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে কোমরে ব্যথা বয়স বাড়লে সাধারণত লাম্বার স্পনডাইলোসিসের জন্য হয়ে থাকে। মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলেই এ রোগের সূত্রপাত হয়। তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীল পরিবর্তনসাধিত হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে।

রোগের উপসর্গ

  • ­কোমরে ব্যথা। প্রথম দিকে এ ব্যথা কম থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে এ ব্যথা কিছুটা কমে আসে। ­কোমরে সামান্য নাড়াচাড়া হলেই এ ব্যথা বেড়ে যায়।
  • ­অনেক সময় ব্যথা পায়ের দিকে নামতে পারে এবং অবশ ভাব বা ঝিনঝিন অনুভূতিও হতে পারে।
  • ­কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো ও শক্ত ভাব হয়ে যাওয়া­ এ ধরনের উপসর্গও রোগে দেখা দিতে পারে।
  • ­প্রাত্যহিক কাজে, যেমন­ নামাজ পড়া, তোলা পানিতে গোসল করা, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদিতে কোমরের ব্যথা বেড়ে যায়।

কোমরের ব্যথা রোগের চিকিৎসা
বিশ্রামঃ এ রোগী শক্ত ও সমান বিছানায় বিশ্রামে থাকবেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের বিশ্রামে ব্যথা উপশম হয়। ব্যথা উপশমক ওষুধ ব্যথা থাকা অবস্থায় এবং মাংসপেশি শিথিলকরণ ওষুধ দেয়া যেতে পারে। সব ক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক নির্দিষ্ট মাত্রায় সঠিক নিয়মে ওষুধ খেতে হবে।

ফিজিক্যাল থেরাপিঃ
ক) বিভিন্ন প্রকার তাপ এ রোগে চিকিৎসকরা প্রয়োগ করে থাকেন। যেমন­ ডিপ হিট সুপারফিসিয়াল হিট রোগীর কোন অবস্থায় কোন ধরনের থেরাপি প্রয়োগ করতে হবে তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নির্ধারণ করে দেন।

খ) লাম্বার ট্রাকশনঃ লাম্বার ট্রাকশনে সাধারণত ২৫-৫০ পাউন্ড ওজন দেয়া হয়। তবে রোগীর অবস্থা, ওজন, বয়স ও পুরুষ/মহিলা ভেদে ওজন কম-বেশি হয়। লাম্বার ট্রাকশন বিশেষ সতর্কতার সাথে চিকিৎসকের (ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ অনুযায়ী দেয়া উচিত।

গ) লোকাল স্পাইনাল সাপোর্টঃ কোমরের ব্যথায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা লোকাল স্পাইনাল সাপোর্ট হিসেবে কোমরের বেল্ট বা করসেট ব্যবহার করতে উপদেশ দিয়ে থাকেন। লাম্বোসেকরাল করসেট শুধু চলাফেরা ও কাজের সময় ব্যবহার করা উচিত।

ঘ) ইলেকট্রোথেরাপিঃ ইলেকট্রোথেরাপি হিসেবে ট্রান্সকিউটেনাস ইলেকট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে রোগীর অবস্থা ও প্রকারভেদে চিকিৎসকরা এসব চিকিৎসা প্রয়োগের উপদেশ দিয়ে থাকেন।

ব্যায়ামঃ কোমরে ব্যথায় বিভিন্ন ব্যায়াম দেয়া হয়। এ ধরনের ব্যায়াম রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকরা ধাপে ধাপে দিয়ে থাকেন।

ক) ব্যায়াম মাংসপেশির স্পাজম বা কামড়ানো কমিয়ে দিয়ে ব্যথামুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

খ) এ ব্যায়াম বিভিন্ন মাংসপেশির দুর্বলতা দূর করে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

গ) এই ব্যায়াম মাংসপেশির শক্ত ভাব দূর করে সাধারণ শিথিল ভাব আনতে সাহায্য করে।

ঘ) এ ব্যায়াম বিভিন্ন মাংসপেশির মধ্যে সমতা এবং নিয়ন্ত্রিত যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ঙ) এ ধরনের ব্যায়াম মাংসপেশির সাধারণ চরিত্র ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে এ চিকিৎসা সর্বদা একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নেয়া উচিত।

কোমরের ব্যথা রোগীর জন্য কিছু পরামর্শঃ

  • ­কাজ করার সময় করসেট ব্যবহার করুন।
  • ­সব সময় শক্ত সমান বিছানায় ঘুমাবেন।
  • কোনো জিনিস তোলার সময় সোজা হয়ে বসে তুলবেন।
  • ­চেয়ারে বসার সময় ঘাড় ও পিঠ সোজা রেখে বসবেন।
  • ­ফোমের বিছানায় ঘুমাবেন না এবং ফোমের (নরম সোফা) সোফায় অনেক্ষণ বসবেন না।
  • ­একই সাথে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকবেন না।
  • ­ঝুঁকে বা মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না।
  • ­ভারী কোনো জিনিস, যেমন­ বেশি ওজনের থলি, পানিভর্তি বালতি ইত্যাদি বহন করবেন না।
  • ­পিঁড়িতে বসে কোনো কাজ যেমন­ মাছ কাটা, শাকসবজি কাটা ইত্যাদি করবেন না।
  • ­টিউবওয়েল চেপে পানি উঠাবেন না।
  • ­ঝরনায় অথবা সোজা হয়ে বসে তোলা পানি দিয়ে গোসল করবেন।
  • ­সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে উঠবেন ও নামবেন।
  • ­হাই হিল জুতা ব্যবহার পরিহার করুন।
  • ­মোটা ব্যক্তিদের শরীরের ওজন কমাতে হবে।
  • ­যানবাহনে চড়ার সময় সামনের আসনে বসবেন, কখনো দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
  • ­ঘুম থেকে ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে উঠবেন।

সূত্রঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ০৬ জানুয়ারী ২০০৮
লেখকঃ ডা. এম এ শাকুর
বাতব্যথা রোগ ও প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ,
ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, বাড়ি- ৪৮, রোড- ৯/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা।

শেয়ার করুন :

Facebook Twitter WhatsApp Email

Filed Under: বার্ধক্য Tagged With: কোমর, ঘাড়, পিঠ, ব্যায়াম, মাংসপেশী, মেরুদণ্ড

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Primary Sidebar

আরো পড়ুন

বন্ধ্যাত্ব

পুরুষও ‘বন্ধ্যা’ হতে পারে

অবাঞ্ছিত লোম

অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা

মুরগির মাংস

মুরগির মাংস খাওয়া ভালো, তবে…

Tags

উচ্চ রক্তচাপ কান কাশি কিডনি কোলেস্টেরল ক্যানসার ক্যান্সার খাবার ঘুম চর্বি চাকরি চুল চোখ ডায়রিয়া ডায়াবেটিস ঢাকা ত্বক থেরাপি দাঁত দুশ্চিন্তা ধূমপান নবজাতক নাক পা পুষ্টি প্রদাহ প্রস্রাব ফুসফুস ফ্যাশন বন্ধু বিয়ে ব্যায়াম ভাইরাস ভিটামিন মস্তিষ্ক মানসিক চাপ মুখ রক্ত রক্তচাপ শিশু শুভাগত চৌধুরী শ্বাসকষ্ট হাত হার্ট অ্যাটাক হৃদরোগ

Copyright © 2021 · eBangla.org · লাইব্রেরি · ইবুক · জোকস · রেসিপি · ডিকশনারি · লিরিক