• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

শিশুর সমস্যা যখন তোতলানো

October 29, 2008

তোতলানো একটা কথা বলার সমস্যা, যেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যায়। সাধারণত ১৬ বছর বয়সের আগেই শতকরা ৮০ ভাগ ভালো হয়ে যায়।
হালকা-পাতলা তোতলানোর কোনো বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু বেশি মাত্রায় যারা তোতলায়, তাদের স্পিচ থেরাপির (শব্দ উচ্চারণের চিকিৎসা) মাধ্যমেই চিকিৎসা করে উন্নত করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে ২২ অক্টোবর পালিত হলো আন্তর্জাতিক তোতলানো দিবস।
সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যই এর মূল উদ্দেশ্য। তোতলানো হলো কথা বলার সমস্যা। অর্থাৎ কথা বলার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে তিনটি ব্যাপার হতে পারে।
–শব্দ বা কথা পুনরাবৃত্তি করা। যেমনঃ আগামী আগামী আগামীকাল যাব।
–শব্দের প্রথম অক্ষর বা উচ্চারণ লম্বা করে বলা, যেমনঃ পাপাপাপাপানি খাব।
–বাক্যের মধ্যে বা শব্দের মধ্যে হঠাৎ করে থেমে যাওয়া বা আটকে যাওয়া। মুখ নড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। ঠোঁট-মুখ বেঁকে যাচ্ছে, মুখ থেকে হালকা থুতু বের হচ্ছে, কিন্তু কথাটা পুরো হচ্ছে না-এই তিনটাই প্রাথমিক সমস্যা। এগুলো যখন স্বাভাবিক হচ্ছে না, তখন পরবর্তী পর্যায়ে তার মধ্যে তৈরি হচ্ছে হতাশা, লজ্জা ও দুশ্চিন্তা। এভাবে বৃত্তের মতো ঘুরতে থাকে এবং সমস্যা জটিল হতে শুরু করে, ফলে তোতলানো তো কমেই না, বরং দিন দিন বাড়তে থাকে।

তোতলানো কাদের হয়ঃ কম-বেশি সবারই হতে পারে। সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের তিন-চার গুণ বেশি হয়। তোতলানোর তালিকায় বিখ্যাত অভিনেতা, রাজনৈতিক নেতা, গায়ক, গায়িকা, খেলোয়াড়, লেখক, বিজ্ঞানীসহ সবারই নাম পাওয়া যায়।

কারণঃ যুগের পর যুগ তোতলানোর কারণ খোঁজা হয়েছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধারণা করা হয়েছে।
গ্রিক যুগে ধারণা করা হতো যে জিভ শুকিয়ে গেলে হয়। সে জন্য বিভিন্ন পানীয় ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ কোনো কাজ হয়নি।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভাবা হতো, জিভের নিচে একটি বাড়তি মাংস থাকায় জিভ নড়ে না। চিকিৎসা হিসেবে বহু রকমের অপারেশন করা হয়েছে, কিন্তু তার পরও কোনো উন্নতি হয়নি।
বিংশ শতাব্দীতে মনে করা হয়েছে যে মানসিক চাপ বা রোগের জন্য এটা হয়। সে জন্য মানসিক চাপ নিরাময়ের জন্য বহু ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। বর্তমান যুগে ভাবা হয় যে কথা বলার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় এ রকম হয়। আর এ জন্য শব্দ উচ্চারণের বিভিন্ন ধরনের থেরাপিই একমাত্র চিকিৎসা।

তোতলানোর প্রকারভেদঃ দুই ধরনের তোতলানো দেখা যায়-

বাড়ন্ত বয়সে কথা বলার সমস্যা
এটা সাধারণত শিশুদের হয়। এরা পুরা শব্দ বা বাক্যটা পুনরাবৃত্তি করে। এটা কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

সাধারণ তোতলানোঃ এরা শব্দের প্রথম আওয়াজটা পুনরাবৃত্তি করে বা আওয়াজটা লম্বা করে অথবা বাক্যের মধ্যে থেমে যায় এবং মুখের বিভিন্ন ভঙ্গিমা হয়।

চিকিৎসাঃ তোতলানো অল্প হলে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। একটু সচেতন হলেই এটা দূর করা সম্ভব।

আরও যা করণীয়
–কখনো তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবেন না।
–তার সঙ্গে কথা বলুন বারবার। তার লজ্জা, হতাশা ও দুশ্চিন্তা কমান।
–তাকে ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস করান।
–প্রতিটি আওয়াজ ধীরে ধীরে ও চাপ দিয়ে বলার অভ্যাস করান।
একটু সচেতন হলেই তোতলানোর সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। প্রয়োজন শুধু সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ।

ডা· সেলিনা ডেইজী
শিশু নিউরোলজি ও ক্লিনিক্যাল নিউরোফিজিওলোজি বিশেষজ্ঞ
স্মায়ুরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৯, ২০০৮

Previous Post: « নারীস্বাস্থ্য সমস্যা
Next Post: ঘরোয়া জীবাণু মাইট থেকে মুক্ত থাকুন »

Reader Interactions

Comments

  1. হাফিজুর

    June 25, 2011 at 5:44 am

    আমার নাম হাফিজ। আমার বয়স ২৫ বছর। আমার সমস্যা হল । আমার কথা বলতে আটকে যায়। তুতলামী শুরু হয়। একা একা কথা বললে তুতলামী হয়না কিন্তু অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে গেলে বেশি তুতলামী হয়। আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কেলেজে স্পীচ থেরাপী করতেছি ২ মাস যাবত কিন্তু কোন পরিবর্তন লক্ষ করতেসি না। আমি এখন কি করব একটু পরামর্শ চাই।

    Reply
    • Bangla Health

      June 29, 2011 at 9:56 am

      আপনার মনে হয় আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর অনেক উপায় আছে। নিয়মিত ব্যায়াম করে দেখতে পারেন।

      Reply
  2. রাসেল

    September 3, 2013 at 8:59 pm

    আমার নাম রাসেল বযস 18 আমার দিন দিন তোতলানি বরছে কারো সাথে কথা বলতে লজজা করে আমি কী করবো আর কী বঃম করবো

    Reply
    • Bangla Health

      September 4, 2013 at 11:34 pm

      আত্মবিশ্বাস বাড়ান, আর ধীরে ধীরে কথা বলুন। ভয় পাবেন না।

      Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top