• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

ওষুধের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি

October 21, 2008

প্রতিটি ওষুধই বাজারজাত করার আগে একটি নাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, যাকে বলে সেই ওষুধের ব্র্যান্ড বা ট্রেড-নাম। একই ধরনের ওষুধের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ব্র্যান্ড-নাম দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের চিকিৎসকেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্র্যান্ড নামে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। ওষুধের নামকরণ আসলে এমন হতে হবে, যেন তা চিকিৎসক, কেমিস্ট বা ফার্মাসিস্ট, ওষুধ ব্যবসায় সম্পৃক্ত ব্যক্তি, রোগী-সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়। নামটা ছোট হলে ভালো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো নামকরণের ক্ষেত্রে রাসায়নিক উপাদানের নামকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অর্থাৎ রাসায়নিক নামের কিছু অংশ নিয়ে ব্র্যান্ড-নাম করে থাকে। যেমন-সিপ্রোসিন ও সিপ্রো; এ দুটো হচ্ছে সিপ্রোফ্লক্সাসিন-এর ব্র্যান্ড-নাম। আবার অনেকে কোম্পানি নামের সঙ্গে মিল রেখে কোম্পানির নামের আগের বা পরের অংশ যোগ করে। যেমন-এসকে-সেফ, অপসোভিট, এসকোসন ইত্যাদি। অনেকে আবার রাসায়নিকের থেরাপিউটিক গ্রুপ অনুসরণ করে থাকে, যেমন-অ্যাডগ্লিম। কোনো কোনো কোম্পানি মূল প্রস্তুতকারকের ওষুধের নামকে সামান্য পরিবর্তন করে নামকরণ করে থাকে, যাতে তা সহজে পরিচিতি পায়। আবার অন্য একটি সুন্দর নামকরণ করার যুক্তিসংগত কারণও রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। নামকরণের এ পদ্ধতি আসলে প্রতিটি কোম্পানির নিজস্বতা। এখানে যেসব উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, তা ধারণা মাত্র।
কোম্পানিগুলোর কাছে তাদের ওষুধের নামের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে ওষুধ বাজারজাত করার আগে প্রতিটি নাম ওষুধ প্রশাসন পরিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। আরেকটা বিষয় বলা দরকার, রাসায়নিক উপাদান বা জেনেরিক অনুযায়ী ব্র্যান্ড-নামের ভিন্নতা থাকাটা কিন্তু অপরিহার্য। কিছু ক্ষেত্রে দুটি কোম্পানির দুটি ভিন্ন ওষুধের ব্র্যান্ড-নামের ইংরেজি বানানে সামান্য পার্থক্য থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা উচ্চারণে একই রকম মনে হয়।
সে ক্ষেত্রে ভুলক্রমে নির্ধারিত ওষুধের বদলে অন্য ওষুধ রোগীর কাছে চলে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) মতে, চিকিৎসাশাস্ত্র-সংক্রান্ত যত ভুল হয়ে থাকে, এর ১০ শতাংশই হচ্ছে ওষুধের নামসংক্রান্ত বিভ্রান্তির কারণে।
ব্যবস্থাপত্রের লিখিত ওষুধের নাম বুঝতে অসুবিধা হলে চিকিৎসকের কাছে পুনরায় গিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়াটা জরুরি। আর ওষুধবিক্রেতারও বিক্রি করার আগে ওষুধের নাম, গঠন বা ধরন (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ ইত্যাদি) ও মাত্রা ভালোভাবে খেয়াল করা উচিত। সর্বোপরি রোগীকেও হতে হবে যথেষ্ট সচেতন। তাহলেই ওষুধের নাম বিভ্রান্তির কারণে হওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্ঘটনা সহজে এড়ানো যাবে।

শামীম আলম খান, ফার্মাসিস্ট
সূত্রঃ প্রথম আলো, অক্টোবর ২২, ২০০৮

Previous Post: « শিশুদের অন্ধত্ব চিকিৎসা ও প্রতিরোধ – সরকারি সেবা বাড়ানো প্রয়োজন
Next Post: রান্নাঘরের ধোঁয়া এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য »

Reader Interactions

Comments

  1. Ihtesham Kazi

    December 19, 2008 at 1:07 am

    Of all the doctors in the world, Bangladeshi doctors are busiest in the world, compared to my experience in the USA and Singapore. They have no time to listen to the patients, and no time to write a clear prescriptions, not to talk about instructions. The people get confused, even the pharmacists give wrong medicines from such prescriptions. Having some bad experiences those who can afford catch a bus to Calcutta or a plane to Bangkok.

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top