• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

ভূমিকম্পে করণীয়

You are here: Home / লাইফস্টাইল / ভূমিকম্পে করণীয়

ঈদের দিন। চারদিকে সাজ সাজ রব। ঘরে-বাইরে আনন্দের বন্যা। হঠাত্ কেঁপে ওঠে সারা দেশ। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন। ঈদের আনন্দে খানিকটা ভাটা পড়ল যেন। কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এ ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। এ ছাড়া জনবহুল ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শহরের একটি। এ জন্য এ এলাকায় ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে তা রোধ করা সম্ভব। বাড়ির তৈরির সময় পূর্বপ্রস্তুতি, ঝুঁকিপূর্ণ দালানকোঠা সংস্কার, ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও সে সময়ের করণীয়—এমন নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভূমিকম্প সমিতির সহসভাপতি মেহেদী আহম্মদ আনসারী।
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের ইতিহাস ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ—ভূমিকম্প-প্রবণতার দিক থেকে বাংলাদেশকে এমন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে পড়েছে।অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি তৈরি, নিম্নমানের নির্মাণ-উপকরণের ব্যবহার, জাতীয় ভবন নির্মাণ আইন মেনে না চলা ইত্যাদি কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এসব অঞ্চলে।’

ভূমিকম্প-প্রতিরোধী বাড়ি
যাঁরা এখনো বাড়ি তৈরি করেননি, পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা চাইলেই ভূমিকম্প-প্রতিরোধী বাড়ি বানাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে:
* প্রথমেই মাটি পরীক্ষা করে নিতে হবে। ওই জায়গায় মাটি দেবে যাওয়ার প্রবণতা আছে কি না দেখে নিন। খাল-বিল-পুকুর-ডোবা ভরাট করে বাড়ি বানাতে চাইলে মাটি ভালোভাবে দুরমুস করে নিন।
* বাড়ি এমনভাবে তৈরি করুন, যাতে রোমান সংখ্যায় VII (৭) মাত্রার ইনটেনসিটি (তীব্রতা) সহনশীল হয়।
* দক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে নকশা তৈরি ও তদারক করাতে হবে।
* ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভূমিকম্পের ধাক্কায় সহনশীল হবে এমন রড ব্যবহার করতে হবে।
* ভবনের উচ্চতা ও ভার বহনের হিসাব অনুযায়ী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করুন।
* সিমেন্ট, রড, বালু ভালো মানের ও পরীক্ষিত হতে হবে।
* ভিত্তিপ্রস্তরে গ্রেট বিম কলামের সংযোগস্থলে প্রয়োজনীয় কোড অনুযায়ী রড দিতে হবে।
* কলামের রডে বাঁধনগুলোর শেষ মাথা ১৩৫ ডিগ্রি হতে হবে এবং বাঁধনগুলোর দূরত্ব অন্য জায়গার চেয়ে অর্ধেক হবে। অর্থাত্ ফাঁকা কম হবে।
* বিম ও কলামের সংযোগস্থলে জোড়া লাগানো যাবে না। নতুন-পুরোনো সংযোগগুলো কলামের মাঝামাঝি যেন হয় এমনভাবে রড কাটতে হবে। সংযোগগুলো ঝালাই করা যেতে পারে।
* বহুতল ভবনে কংক্রিটের তৈরি কোরওয়াল (লিফটের দেয়াল) প্রয়োজনমতো থাকা উচিত।
* কার পার্কিং বিম ও কলাম বরাবর বাইরের দেয়াল প্রয়োজনমতো থাকা উচিত।
* মাটির ঘর হলে শক্তভাবে নির্মাণ করুন।
* আপনার বাড়িটি পাশের বাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণ করুন।
* বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাসলাইন নিরাপদ ও সতর্কভাবে স্থাপন করুন, যাতে তাত্ক্ষণিকভাবে বন্ধ করা যায়।
* ঘরে একাধিক দরজা রাখুন, যাতে বিপদের সময় দ্রুত বের হওয়া যায়।

পুরোনো বাড়ির ক্ষেত্রে
বাড়ির মালিকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। একটু সচেতন হলেই আপনার বাড়িটি এখনো ভূমিকম্পরোধী করা সম্ভব। এর জন্য বাড়তি কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে।
* পুরোনো ঘরের খুঁটি মেরামত করুন।
* সে জন্য বাড়ির কলামগুলো শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনমতো কলামের আকৃতি বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত টানা রড বা তারের জালি (ফেরোসিমেন্ট পদ্ধতি) কলামকে চিপিং করে ফেরোসিমেন্ট ব্যবহার করা যায়।
* প্রয়োজনে নতুন করে মাটি পরীক্ষা করতে হবে।
* প্রতিটি ঘরের কোনায় খাড়াভাবে অতিরিক্ত কংক্রিটের কলাম ইস্পাতের রডসহ নির্মাণ করা যায়। টানা পদ্ধতি না থাকলে নতুন করে দেওয়া যায়।
* দেয়াল মজবুত করার জন্য দরজা-জানালার দুই দিকে খাড়া রড গাঁথতে হবে। ইটের দেয়ালের মাঝখানে অতিরিক্ত রড দিয়ে দিতে হবে।
* কাঁচা বাড়িঘর, বাঁশের ঘর হলে বাঁশের বেড়ার দুপাশে মাটি বা চুন-সুরকির প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে, তা সাশ্রয়ীও বটে।
* খাট ও টেবিল শক্তভাবে তৈরি কি না পরীক্ষা করুন। ভূমিকম্পের সময় এসবের নিচে আশ্রয় নেওয়া যায়।
* বাড়ির বীমা করা না থাকলে করিয়ে রাখুন।

ভূমিকম্পের সময় করণীয়
* ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির সঙ্গে সঙ্গে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিন।
* ঘরে হেলমেট থাকলে মাথায় পরে নিন, অন্যদেরও পরতে বলুন।
* ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সম্ভব হলে আশপাশের সবাইকে বের হয়ে যেতে বলুন।
* দ্রুত বৈদ্যুতিক ও গ্যাসের সুইচ বন্ধ করে দিন।
* কোনো কিছু সঙ্গে নেওয়ার জন্য অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
* যদি ঘর থেকে বের হওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে ইটের গাঁথুনি দেওয়া পাকা ঘর হলে ঘরের কোণে এবং কলাম ও বিমের তৈরি ভবন হলে কলামের গোড়ায় আশ্রয় নিন।
* আধাপাকা বা টিন দিয়ে তৈরি ঘর থেকে বের হতে না পারলে শক্ত খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নিন।
* ভূমিকম্প রাতে হলে কিংবা দ্রুত বের হতে না পারলে সজাগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয় নিন ঘরের কোণে, কলামের গোড়ায় অথবা শক্ত খাট বা টেবিলের নিচে।
* গাড়িতে থাকলে যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে থাকুন। কখনো সেতুর ওপর গাড়ি থামাবেন না।
* এ সময় লিফট ব্যবহার করবেন না।
* যদি বহুতল বাড়ির ওপরের দিকে কোনো তলায় আটকা পড়েন, বেরিয়ে আসার কোনো পথই না থাকে, তবে সাহস হারাবেন না। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ভেবে দেখুন, উদ্ধারকারী পর্যন্ত আপনার চিত্কার পৌঁছাবে কি না।
* বিম, দেয়াল, কংক্রিটের ছাদ ইত্যাদির মধ্যে আপনার শরীরের কোনো অংশ চাপা পড়লে, বের হওয়ার সুযোগ যদি না-ই থাকে, তবে বেশি নড়াচড়া করবেন না। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
* ধ্বংসস্তূপে আটকে গেলে সাহস হারাবেন না। যেকোনো উত্তেজনা ও ভয় আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সতর্কতা ও সচেতনতা
* ভূমিকম্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিন।
* এর ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে।
* ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।
* এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তুলতে হবে।
* ভূমিকম্পে আহতদের জন্য জরুরি চিকিত্সাসেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
* বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার এবং গণমাধ্যমের সাহায্যে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
* বাড়ি বানানোর প্রকৌশলী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, বাড়ির মালিক ও মেরামতের সঙ্গে জড়িত লোকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
* ভূমিকম্প প্রকৌশল কোর্স চালু করা দরকার।
* স্কুল, হাসপাতাল ও দমকলের মতো অত্যাবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠানের গঠন সুচারুভাবে করা উচিত।
* গৃহীত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে।
* বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ আইন অনুযায়ী তৈরি করলে দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।
* বাড়ি বানানোর সময় অবশ্যই তীব্রতা-সহনশীল করে তৈরি করতে হবে। আমরা না বুঝে ম্যাগনেচুড বা মাত্রা-সহনশীল তৈরি করে থাকি, যা ঠিক নয়। তীব্রতা-সহনশীল পদ্ধতি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা নির্দেশ করে। ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার পরপরই এটি মাপা হয়। ভূমিকম্পের ব্যাপকতা বোঝাতে ভয়াবহ, প্রচণ্ড, মাঝারি, মৃদু ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করা হয়।

ভূমিকম্প যেভাবে মাপা হয়
ভূমিকম্পের মাত্রা দুভাবে নির্ধারণ করা হয়।
১. ম্যাগনেচুড (মাত্রা)
২. ইনটেনসিটি (তীব্রতা)
ম্যাগনেচুড (মাত্রা): সাধারণ রিখটার স্কেলেই ম্যাগনেচুড (মাত্রা) মাপা হয়। স্কেলের এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। রিখটার স্কেলে মাত্রা পাঁচের বেশি হওয়া মানে ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা।
রিখটার স্কেলে প্রতি ১ মাত্রা বৃদ্ধি মানে ভূকম্পনের শক্তি প্রায় ৩২ গুণ বেড়ে যাওয়া। এটি ভূমিকম্প সৃষ্টির প্রধান নিয়ামক। ভূমিকম্পের বিভিন্ন স্তরের পরিবর্তনের কারণে শক্তির যে নিঃসরণ ঘটে, এর সঙ্গে এটি সরাসরি জড়িত।
ইনটেনসিটি (তীব্রতা): সাধারণত সংশোধিত মার্কেলিং স্কেলে এটি মাপা হয়। মানুষের অনুভূতি, গৌণ কাঠামো ও কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যের ওপর এটি নির্ভরশীল। এর এককগুলো প্রকাশ করা হয় রোমান সংখ্যায়, অর্থাত্ I থেকে XII পর্যন্ত। ইনটেনসিটি বেশি হলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। একটি নির্দিষ্ট ভূমিকম্পের জন্য জায়গাভেদে এর পরিমাত্রা ভিন্ন হয়।

তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৯

September 29, 2009
Category: লাইফস্টাইলTag: ঈদ, গাড়ি, ঢাকা, প্রশিক্ষণ

You May Also Like…

শীত যাই যাই করলেও অসাবধান হওয়া যাবে না—এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন

কোমরব্যথায় চাই যেমন বিছানা 

শরীরের মেদ কমানোর শত্রু যেসব অভ্যাস

ক্রিম ব্যবহার করলে কি আসলেই ত্বক ফরসা হয়?

Previous Post:সুন্দর অন্দর
Next Post:ফুলে ফুলে সাদা কাশবন

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top