• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

ডায়াবেটিসের রোগী ও রোজা

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / ডায়াবেটিসের রোগী ও রোজা

পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। সংযমের মাস রমজান। ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজা রেখে কী করে পুরোপুরি সুস্থ থাকবেন; পাশাপাশি পবিত্র এ মাস কীভাবে স্বস্তিতে ও কৃচ্ছ্রসাধন করে পালন করা যায়-এ নিয়ে আছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

ডা· মো· ফরিদ উদ্দিন
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক, অ্যান্ডোক্রাইন মেডিসিন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডায়াবেটিসের রোগী রোজা রাখে। তাদের মধ্যে যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখে, তারা বেশ কিছু জটিলতার সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসেমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস ও পানিশূন্যতার।

যেসব রোগী শুধু খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাদের রোজা রাখার ঝুঁকি কম। যারা মেটফরমিন ও গ্লিটাজোনস জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করে, তাদেরও এ সময় ঝুঁকি কম। তবে যারা সালফোনাইলইউরিয়া ও ইনসুলিন গ্রহণ করে, তাদের ঝুঁকি বেশি। যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের রোজা রাখতে ডায়াবেটিস কোনো বাধা নয়। তবে প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে রোজা রাখার প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

ডায়াবেটিসের রোগীদের রোজা রাখা এখন সহজ ও নিরাপদ। রমজান মাস ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য একটি বড় সুযোগ করে দেয় শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করার। ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজা রাখতে পারবে কি না, তা অনেকেই জিজ্ঞেস করে। স্বাস্থ্যহানি হয় এমন কিছু থেকে বিরত থাকতে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। তাই রোজা রাখার জন্য সব স্বাস্থ্যবিধি পালন করেও কারও যদি স্বাস্থ্যহানি হওয়ার ভয় থাকে, তবে তার জন্য রোজা রাখা সংগত নয়। সে ক্ষেত্রে কাজা রোজা রাখার বিধান আছে। রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করা, এমনকি প্রয়োজন হলে ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়া যেতে পারে। ধর্মবিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

সুতরাং এসব নিয়ম মেনে ডায়াবেটিক-রোজাদার রোজা রাখতে পারবে। ডায়াবেটিসের সঙ্গে জটিলতা যাদের আছে, তাদের রোজা রাখা ঠিক নয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায়।
জীবনধারায় পরিবর্তন
রমজান মাসে আমাদের জীবনধারায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ সময় খাদ্যাভ্যাসে একটা বড় পরিবর্তন হয়। রমজান মাসে প্রধানত দুবার খাদ্য গ্রহণ করা হয়। কেউ কেউ আছে, যারা অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলে। কেউ আবার কম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। খাদ্যাভ্যাসের দুটি পন্থাই রক্তের সুগারের বড় ধরনের তারতম্যের কারণ হয়ে থাকে। অন্যদিকে কেউ কেউ রমজান মাসে কাজকর্মের মধ্যে কিছুটা সময় কমিয়ে দেয় ও পরিবর্তন করে থাকে। রোজা থাকার কারণে কিছুটা কম সময় কাজ করে থাকে। ফলে ওজন ও সুগার বেড়ে যায়। রক্তের মন্দ কোলেস্টেরলও বেড়ে যায়। এতে হার্টের জটিলতার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

রোজার কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য-সমস্যা ও এর সমাধান
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া)
কারণঃ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে দিনের শেষ ভাগে স্বাস্থ্যের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এ ছাড়া অন্য যেকোনো অতিরিক্ত কাজ করায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যেতে পারে, যেমন বড় ধরনের শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম রক্তের গ্লুকোজের বড় একটা অংশ কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ইনসুলিন অথবা ট্যাবলেট গ্রহণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ইনসুলিন ও সিরিঞ্জ একই মাপের না হলে, বরাদ্দের চেয়ে খাবার খুব কম খেলে বা খাবার খেতে ভুলে গেলে এ অবস্থা হতে পারে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ
— অসুস্থ বোধ করা। — বুক ধড়ফড় করা। — শরীর কাঁপতে থাকা। — চোখ ঝাপসা হয়ে আসা। — অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। — খিদে বেশি পাওয়া। — বেশি ঘাম হওয়া। — শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। — অস্বাভাবিক আচরণ করা। — খিঁচুনি হওয়া।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে কী করতে হবে
রোজাদার ব্যক্তির এসব লক্ষণ দেখা দিলে অথবা রক্তে সুগারের পরিমাণ ৬০ মিলিগ্রামের (৩·৬ মিলিমোল) নিচে হলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাজা রোজা রাখতে হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি। রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে চা চামচের চার থেকে ছয় চামচ গ্লুকোজ বা চিনি এক গ্লাস পানিতে গুলে খাওয়াতে হবে। গ্লুকোজ বা চিনি না থাকলে যেকোনো খাবার সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে। রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে মুখে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা না করে গ্লুকোজ ইনজেকশন দিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া থেকে বাঁচার উপায়
এমন খাবার ও ওষুধ খেতে হবে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখবে। খাবার ও ওষুধ খাওয়ায় সমন্বয় সাধন করতে হবে। নিচের নিয়মগুলো মেনে চললে হাইপোগ্লাইসেমিয়া এড়ানো সম্ভব।
কঠিন শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমের কাজ বাদ দিতে হবে। কেননা এটি কোনো রকম আভাস ছাড়াই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে কঠিনভাবে নি্নমুখী করে দেয়। রোজার সময় দেরিতে ইফতারি খাওয়ায়ও এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। বারবার ওষুধের মাত্রার হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে, সেটি ইনসুলিন হোক কিংবা ট্যাবলেট। একইভাবে খাবারের পরিমাণেরও হিসাব রাখতে হবে, বিশেষ করে শর্করা। এরপর এই হিসাব চিকিৎসককে অবহিত করতে হবে, যেন খাবারের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজের প্রভাব উচ্চমাত্রা এবং ওষুধের সাহায্যে রক্তে গ্লুকোজের প্রভাব নি্নমাত্রা এই দুইয়ের সমতা রক্ষা হয়।

গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
ডায়াবেটিস রোগে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে কম সময়ে এসিটোন বেড়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে প্রধান যে অবস্থাগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হলো মাথা ঘোরা, শক্তি কমে যাওয়া, কখনো কখনো ঝিমুনি, বমি, দুর্বলতা প্রভৃতি। সেই সঙ্গে গ্লুকোজের কার্যক্রম অনিয়মতান্ত্রিক হয়ে থাকে। ফলে অতিরিক্ত প্রস্রাব, পিপাসা ও পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা যায়।
এসব লক্ষণের কারণে এ অবস্থা নির্ণয় করা চিকিৎসকের পক্ষে সহজ হয়। এ সময় রক্তচাপ নি্নমুখী হয়, ত্বক শুকিয়ে যায়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাবে গ্লুকোজ বেশি মাত্রায় প্রকাশ পায় এবং সেই সঙ্গে প্রস্রাবে এসিটোন প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় যদি দ্রুত চিকিৎসা করানো না হয়, তাহলে কিটোএসিডোসিস হবে এবং রোগী বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছাবে। রোজা থাকা অবস্থায় হলে রোজা ভেঙে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কিটোএসিডোসিস ছাড়াও যদি রক্তের সুগার বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছায় (16.7mmol/L বা 300 mg/dl), তাহলে ত্বকের নিচে ইনসুলিন দিয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় করতে হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীর খাবার
— সেহরির খাবার সেহরির শেষ সময়ের অল্প কিছুক্ষণ আগে খাওয়া।
— ইফতারের সময় বেশি পরিমাণে মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ না করা।
— ডায়াবেটিসের রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, যেন তারা পানিশূন্যতায় না ভোগে।
— খেজুর খেলে একটি খেতে পারেন। ফলমূল, শাকসবজি, ডাল ও টকদই তালিকাভুক্ত করে রাখতে পারেন। ডাবের পানি পান করতে পারেন। যদি কোনো পানীয় পান করেন, তবে চিনিমুক্ত পানি বেছে নিতে পারেন। যদি মিষ্টি পানীয় পছন্দ করেন, তবে সুইটনার যেমন ক্যানডেরাল বা সুইটেক্স গ্রহণ করতে পারেন। ভাজাপোড়া খাবার, যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি, পুরি, পরোটা ও কাবাব অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
— খাদ্যের ক্যালরি ঠিক রেখে খাওয়ার পরিমাণ ও ধরন ঠিক করতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন।
আগে যে পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতেন, রমজানে ক্যালরির পরিমাণ ঠিক রেখে সময় ও খাবারের ধরন বদলাতে হবে। প্রয়োজন হলে নিউট্রিশনিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাবারের তালিকা ঠিক করে নিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, ওষুধের সঙ্গে খাবারের যেন সামঞ্জস্য থাকে। ইফতারের সময় অতিভোজন ও শেষ রাতে অল্প আহার বাদ দিতে হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীর ব্যায়াম
— দিনের বেলায় খুব বেশি পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা উচিত নয়। ইফতার বা রাতের খাবারের এক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, তারাবির নামাজেও কিছুটা ব্যায়াম হয়ে যায়।

ডায়াবেটিসের রোগীর ওষুধ
— যারা দিনে একবার ডায়াবেটিসের ওষুধ খায়, তারা ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙার সময়) ওই ওষুধ একটু কম করে খেতে পারে।
— যারা দিনে একাধিকবার ডায়াবেটিসের ওষুধ খায়, তারা সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে ও রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে খেতে পারে।
— যেসব রোগী ইনসুলিন গ্রহণ করে, তাদের রমজানের আগেই ইনসুলিনের ধরন ও মাত্রা ঠিক করে নেওয়া উচিত। সাধারণত রমজানে দীর্ঘমেয়াদি ইনসুলিন ইফতারের সময় বেশি এবং প্রয়োজনে শেষ রাতে অল্পমাত্রায় দেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনসুলিন (যা দিনে একবার নিতে হয়) বর্তমানে আমাদের দেশে পাওয়া যায় (Lantus), তা ব্যবহার করা যায়। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার আশঙ্কা অনেকটা কম।
— রমজানের কমপক্ষে তিন মাস আগে ডায়াবেটিসের রোগীর অবস্থা অনুসারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার ওষুধ ও ইনসুলিন ঠিক করা উচিত। রমজানের প্রথম ও শেষ দিনে ওষুধ সমন্বয় করে নিতে হবে। এই দুই দিন খাবার ও জীবনযাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন হয়ে থাকে।

সুগার টেস্ট ও ইনসুলিন দেওয়া
— রোজার সময় রাতে, এমনকি দিনের বেলায়ও রক্তের সুগার মাপা উচিত, যাতে রক্তের সুগার দেখে ওষুধের মাত্রা ঠিক করা যায়। ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
— সেহরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করানো যেতে পারে। যদি সুগারের পরিমাণ কমে (3.3mmol/L বা 60 mg/dl) হয়ে যায়, তবে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। যদি সুগারের পরিমাণ বেড়ে (16.7mmol/L বা 300 mg/dl) হয়ে যায়, তবে প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করাতে হবে এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
— রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে যাওয়া অর্থাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়া একটি জরুরি অবস্থা। এ জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রতিবেদনের শুরুর দিকে আলোচনা করা হয়েছে। রোগীকে খাবার দিয়ে রক্তের সুগার বাড়ানোই ওই সময়ের প্রধান কাজ বলে মনে করতে হবে। আমাদের ব্রেইনের সঠিক কার্যক্রমের জন্য সার্বক্ষণিক সুগারের প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ সময় ব্রেইন সুগারহীন থাকলে ব্রেইনের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়, যা পরে আর ঠিক হয় না।
— ডায়াবেটিস রোগীরা দিনের বেলায় সুগার টেস্ট করাতে পারবেন ও ত্বকের নিচে ইনসুলিন নিতে পারবেন।

রমজান মাসে ডায়াবেটিসের ওষুধ ব্যবহারে পরিবর্তন
রোজার আগে
১· সালফোনাইলইউরিয়া, দিনে একবার, যেমন গ্লাইমেপেরাইড (অশথড়ীল), গ্লিক্লাজাইড এমআর গ্রহণ করেন।
২· সালফোনাইলইউরিয়া, দিনে দুইবার, যেমন গ্লিবেনক্লেমাইড, গ্লিক্লাজাইড গ্রহণ করেন।
৩· মেটফরমিন ৫০০ মিলিগ্রাম দিনে তিনবার গ্রহণ করেন।
৪· থায়াজলিনিডিয়ন দিনে একবার গ্রহণ করুন।
৫· রিপাগ্লিনাইড অথবা নেটিগ্লিনাইড।

রোজা চলাকালীন
ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙার সময়) ওষুধটি একটু কম করে খেতে পারেন।
সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে ও রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে খেতে পারেন।
ইফতারের পর মেটফরমিন ১০০০ মিলিগ্রাম ও সেহরির পর ভরা পেটে ৫০০ মিলিগ্রাম খেতে পারেন।
ওষুধটি একই মাত্রায় রাতের যেকোনো সময় খেতে পারেন।
ইফতারের শুরুতে ও সেহরির আগে খেতে পারেন অথবা সন্ধ্যা রাতে খাবার খেলে তার আগেও খেতে পারেন।

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০০৮

September 6, 2008
Category: স্বাস্থ্য সংবাদTag: ডায়াবেটিস, ফরিদ উদ্দিন

You May Also Like…

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?

ব্যায়ামে আলসেমি কাজ করলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুন, মিলবে সমান উপকার

মুখের দুর্গন্ধ কি শুধু মুখ থেকেই আসে?

জিম শুরু করার ৭ উপায়

Previous Post:রোজায় সংযমী হন ও পুষ্টিকর খাবার খান
Next Post:কানের সমস্যা

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top