• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

শিশুর কানে ব্যাথা

December 16, 2007

মিমের বয়স পনর মাস। হঠাৎ করে রাতে চিৎকার শুরু করল। কিছুতেই কান্না থামানো যাচ্ছে না। মা-বাবা চেষ্টা করেও চুপ করাতে পাচ্ছেন না। অস্থির হয়ে কোলে নিয়ে পায়চারি, কোল বদল নাহ কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। সোনামণির কি হল। জ্বর নেই, সুস্থ বাচ্চা দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। মাঝরাতে কি হল বাবুর। হেলপ লাইনে ফোন করলেন বাবা। এত রাতে ওষুধ কোথায় পাবেন। নিকটস্থ ক্লিনিকে নিবেদিতা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসলেন। জরুরী বিভাগের ডাক্তার ভাল করে পরীক্ষা করে দেখলেন কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ভাবলেন কোথাও ব্যথা হবে হয়ত। ভর্তি করালেন। ব্যথার ওষুধ, শান্ত করার জন্য ঘুমের ওষুধ দিলেন। পরদিন সকালে রাউন্ডে এসে দেখা গেল মিম হাসছে, খেলছে ব্যথা নেই। কিন্তু কান দুটো পরীক্ষা করতেই দেখা গেল রক্ত ঝরছে একটা কান দিয়ে। কানে ব্যথা শিশুদের একটা মারাত্মক সমস্যা। ঠিকমত চিকিৎসা না করালে এখান থেকে মস্তিষ্কের ইনফেকশন হতে পারে। আবার বিভিন্ন কারণে কানে ব্যথা হতে পারে যেমন-টনসিলের সংক্রামণ। টনসিলে ইনফেকশন হয়ে যখন ব্যথা হয় সেই ব্যথা স্নায়ুর মাধ্যমে কানে চলে যায় এবং কানে ব্যথা হয়। ঠিকমত চিকিৎসা না করলে কানে ইনফেকশন হয়ে মস্তিষ্কে সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ে। আবার টনসিল অপারেশনের পর কিছুদিন কানে ব্যথা থাকতে পারে। শিশুদের কানে ব্যথার অন্যতম ও প্রধান কারণ অ্যাকিউট অটাইটিম মিডিয়া।

কি করে বুঝবেনঃ

-প্রচণ্ড কানে ব্যথা যা শিশুকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে।
-উচ্চ তাপমাত্রা শিশুকে দুর্বল করে তুলবে।
-ঠান্ডা কাশির হিস্ট্রি থাকবে। কয়েকদিন ধরে শ্বাসনালীর প্রদাহে ভুগছে।
-কানের পর্দার রং পরিবর্তন হবে লাল ও ইনফেকটেড দেখা যাবে।
-কানের পর্দা ফুলে যাবে।
-পর্দা বা টেম্পেনিক মেমব্রেন ছিঁড়ে যাবে যা ফুটো হয়ে যাবে।
-হলুদ পুঁজ বা রক্ত পড়বে। কান দিয়ে পুঁজ বা রক্ত পড়ার পর ব্যথা কমে যাবে শিশুকে দেখলে বোঝা যাবে না যে, সে অসুস্থ ছিল।

চিকিৎসাঃ

কানের পুঁজ পরীক্ষা করলে নিম্নলিখিত জীবাণু পাওয়া যাবেঃ
-হেমোলাইটি স্ট্রেপটো কক্কাস।
-স্টাফাইলো কক্কাস পায়োজেনস।
-নিউমোকক্কাস বা
-হেমোফাইলাস ইনফ্লুইঞ্জি।

এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন দিতে হবে। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল, নাক বন্ধ থাকলে নাকের ড্রপ দিতে হবে। কান পরিষ্কার করতে হবে। মুখে ওষুধ খেতে না পারলে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। প্রয়োজনে অপারেশন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডাঃ মোঃ মুজিবর রহমান মামুন,
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, নিবেদিতা শিশু হাসপাতাল, ওয়ারী, ঢাকা।

Previous Post: « ডায়াবেটিস থেকে মুখের নানা রোগ
Next Post: ডায়েটিং ছেড়ে দিলে ওজন বাড়ে »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top