• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

এলিজারোব পদ্ধতি খাটো পা লম্বা করার উপায়

June 22, 2008

অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের হাঁটুর নিচে দুই থেকে তিন ইঞ্চির মতো অংশ মাংসসহ হাড় থেঁতলে যায়। এ অবস্হায় হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। মাসের পর মাস ড্রেসিং করা ও ওষুধ খাওয়ার ফলে তাদের পা রক্ষা পায়। ঘা শুকাতে ৩-৪ মাস সময় লাগে। ঘা শুকানোর পর দেখা যায় দুই-তিন ইঞ্চির মতো হাড় নেই। ভুক্তভোগী শত শত রোগীর জন্য সুখবর হচ্ছে, এতদিন থেতলে যাওয়া হাত বা পায়ের অংশ শরীর থেকে কেটে ফেলা হতো। কিন্তু বর্তমানে এলিজারোব নামক উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এসব ভাঙা হাত-পা জোড়া লাগানোসহ প্রয়োজনমত বড় করা যায়। এলিজারোব পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থোপেডিক চিকিৎসায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

এলিজারোব পদ্ধতি কী
এটি রিং বা চুড়ি আকৃতির, ষ্টেনলেস ষ্টিলের তৈরি। এর মধ্যে অনেক ছিদ্র আছে। এই ছিদ্রগুলোর মধ্যে ষ্টেনলেস ষ্টিলের নাট-বল্টু লাগিয়ে এবং হাঁড়ের ভেতর লম্বালম্বি চিকন তার ঢুকিয়ে ভাঙা হাঁড়কে রিংয়ের সঙ্গে সংযোগ দেয়া হয়। হাত বা পা ভেঙে খাটো হলে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যায়। ভাঙা বা খাটো হাড়ের একদিক বা উভয় দিকের হাঁড় কেটে প্রতিদিন তারের সঙ্গে টেনে, নাট-বল্টু খুলে এক মিলিমিটার করে বাড়ানো হয়। এভাবে হাড়কে শক্তভাবে লাগানোর জন্য তিন থেকে চারটি রিং ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন এক মিলিমিটার করে মাসে প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার বা এক ইঞ্চি, এভাবে ছয় মাসে ছয় ইঞ্চি বাড়ানো সম্ভব।

এলিজারোব পদ্ধতির সুবিধা
–অল্প খরচে সবচাইতে জটিল সমস্যার সমাধান।
–মাসের পর মাস রোগীর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না।
–এই রিং নিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে।
–রোগীকে সবসময় ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় না। রোগী ঘরে বসে নিজেই নির্দেশমত সংকোচন ও প্রসারণ করতে পারেন। মাসে এক-দুবার ডাক্তারের কছে গেলেই চলে।
–হাড়ে ঘা বা ক্ষতস্হান থাকলেও এটি করা সম্ভব।
–হাড়ের ভেতর কোনো ধাতব পদার্থ বা প্লেট থাকার ঝুঁকি থাকে না।
–হাত বা পা সহজেই নাড়ানো যায়।

এলিজারোব পদ্ধতির অসুবিধা
এ ব্যবস্হায় অসুবিধার তুলনায় সুবিধা অনেক বেশি। সামান্য অসুবিধাগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
–সময় সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন।
–পদ্ধতিটি সহজ মনে হলেও সামান্য জটিল। এর জন্য সার্জনের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
–পা বা হাতের চারপাশে একটি ভারী রিং থাকার কারণে অস্বস্তি লাগতে পারে।
–হাড় ও মাংসের ভেতর দিয়ে কয়েকটি পিন ঢোকানোর কারণে পিনের স্হানে ছোটখাটো ইনফেকশন হতে পারে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

——————————-
ডা. অনন্ত কুমার সেন
আমার দেশ, ২৭ মে ২০০৮

Previous Post: « গ্যাষ্ট্রিক ক্যান্সার-র‌্যাডিকেল সার্জারি
Next Post: টনসিলাইটিস কি ছোঁয়াচে? »

Reader Interactions

Comments

  1. সোহান

    September 25, 2011 at 6:28 pm

    আমার এক হাত ভাঙা ।আমি ডাক্তার এর কাছে যাই এবং আমার হাতে অপারেশেন করে।এখন আমার হাতে তেমন বেথা নেই কিন্তু হাত সোজা করতে পারি না।আমার কি করণীয়????

    Reply
  2. বিধান প্রতিহার

    December 28, 2021 at 4:05 am

    আমার ডান পা খাটো ও সরু। এর চিকিৎসার খরচ কত হতে পারে।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top