• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

উৎসবে-পার্বণে, ঈদ এবং ঈদ-পরবর্তী সময়ে খেতে হবে রয়েসয়ে

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / উৎসবে-পার্বণে, ঈদ এবং ঈদ-পরবর্তী সময়ে খেতে হবে রয়েসয়ে

আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে অতিভোজন হয়ে যায় অনেকের। মিষ্টি-মণ্ডা ও চর্বি থেকে এসবের বাহুল্য ঘটে দিন-রাতের খাওয়ায়। এতে শরীরের ওজন বাড়ে। সামনে ঈদ, মাংস কমবেশি খাওয়া তো হবেই। তবে উৎসবে রয়েসয়ে খেলে বাঁচে শরীর।

আর মাত্র দুই দিন পরই কোরবানির ঈদ। এ সময় গরু, খাসি ও অন্যান্য পশুর মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। সমস্যা হলো তাদের, যাদের পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হূদেরাগ আছে কিংবা যারা এসব রোগের প্রাক-পর্যায়ে রয়েছে।

তবে পরিমিতি বোধ যেখানে রসনা সংবরণ করতে পারে, সেখানে আর ভয়ের কিছু নেই—অন্তত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তা-ই বলেন। হূদেরাগ বিশেষজ্ঞ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, ‘মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা গোশতের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে, কোমল পানীয় ও মিষ্টি একেবারে কমিয়ে খেলে ভালোই থাকা যায়। সেই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো। এ ছাড়া তরকারির ঝোল থেকে গোশত কিংবা সবজি আলাদা করে নিয়ে তা ডালে মেখে খেলেও চর্বির পরিমাণ কিছুটা কমে।’

পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এস এম এ রায়হান বলেন, করোনারি হূদেরাগ, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তি, যাঁদের ইসকেমিক হূদেরাগ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের তৈলাক্ত মাংস কমিয়ে খেতে হবে। সারা বছর তাঁরা যে ধরনের নিয়মকানুন পালন করেন খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে, কোরবানির সময়ও এর ব্যতিক্রম করা ঠিক হবে না। কোরবানির মাংস দু-এক দিন খেলে যে শরীরের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যারা রয়েছে, বিশেষ করে করোনারি হূদেরাগী, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) রোগী, ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত রোগী, তাদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঈদের সময় খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে। স্থূলকায় শরীর যাদের, তাদের অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শরীরের উচ্চতা অনুপাতে স্বাভাবিক ওজন বেড়ে যাচ্ছে কি না।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করা একটি জরুরি বিষয়। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলে সঠিকভাবে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। অর্ধসেদ্ধ মাংস খাওয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়। মাংসে জীবাণুর সংক্রমণ হলে মারাত্মক অ্যান্টারাইটিস হতে পারে। এটা পেটের একধরনের সংক্রামক রোগ, যা খুব ভয়াবহ। যেকোনো পশুর চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা রান্না সুস্বাদু হবে এমন ভুল ধারণা পোষণ করে মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ করে থাকি। এটা ঠিক নয়। যতটুকু সম্ভব মাংসের চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়া ভালো। বাজারে এখন শীতকালীন সবজি এসে গেছে। মাংসের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে শীতের সবজি খাওয়া যেতে পারে। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে। সেই সঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী বলেন, উৎসবের দিনগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ব্যায়াম কিন্তু চালিয়ে যেতেই হবে। বাড়তি ক্যালোরি কিছু হলেও ঝরে পড়ার সুযোগ পাবে।
ভোজে যাওয়ার আগে ফলাহার করে, এক মুঠ বাদাম খেয়ে বেরোলে তেমন অতিভোজন করতেই পারবেন না ভোজের টেবিলে। ব্যায়ামের কর্মসূচিতে বিরতি টানা একেবারেই অনুচিত হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, এমনকি ভ্রমণের সময়ও শরীরচর্চা চলবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভোজের সময় হাতের কাছে পানির বোতল থাকতেই হবে।
শরবত, কোমল পানীয়, ড্রিংকস—এসব বর্জন করলে ভালো। এতে অনাবশ্যক ক্যালোরি যোগ হবে শরীরে।
শুনতে কেমন লাগবে জানি না, তবু বলি, মিষ্টি আর চকলেটের প্যাকেট উপহার না দিয়ে ফল ও বাদামের প্যাকেট উপহার দিলে বেশ স্বাস্থ্যকর হয় কিন্তু। এমন চর্চা শুরু করতে পারেন না কেউ?

স্বাস্থ্যকর আহারের চর্চা উৎসাহিত করা উচিত এবং কেবল রোগীকে দেখার সময় ফল হাতে গিয়ে না; উৎসবে, অনুষ্ঠানে গেলেও তো হয়, না? একটি কাজ করলে কেমন হয়? নিজের বাড়িতে ভোজের আয়োজন করে নেমন্তন্ন করুন বন্ধু-স্বজনদের। তাদের ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন না করে স্বাস্থ্যকর খাবার দিলে খুবই ভালো হবে। অন্যদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে, ক্যালোরিঘন নয় এমন সব খাবারের নতুন নতুন রেসিপি বানানোর চেষ্টাও করতে হবে।
নিজে খেতে বসলেই যে সব খেতে হবে তা নয়। আইসক্রিম, কোমল পানীয়, চর্বি এড়ানো ভালো। বিরিয়ানি, রেজালা খেলেও কম খেতে হবে। এক দিন বেশি খাওয়া হলে পরপর তিন দিন স্লিম আহার করার সংকল্প নিতে হবে। অনেকে ভোজের সময় বেশি খাওয়ার জন্য আগের বেলা না খেয়ে থাকেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে হিতের চেয়ে বিপরীত হবে। এতে ভোজের সময় প্রচুর খাওয়া হবে। খেতে হবে সচেতনভাবে, কেবল ক্ষুধা পেলেই খেতে হয়। মন খারাপ হলে বেশি খাওয়া হয়। প্লেটে থাকুক সবজি-সালাদ, ফলের টুকরা ও দই। এভাবেই উৎসব জমবে, স্বাস্থ্যও থাকবে ভালো।

গ্রন্থনা: ডা. ইকবাল কবীর
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৪, ২০১২

December 28, 2012
Category: স্বাস্থ্য সংবাদTag: ইকবাল কবীর, কোলেস্টেরল, খাবার, ডায়াবেটিস, শরীরচর্চা, শুভাগত চৌধুরী

You May Also Like…

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?

ব্যায়ামে আলসেমি কাজ করলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুন, মিলবে সমান উপকার

মুখের দুর্গন্ধ কি শুধু মুখ থেকেই আসে?

জিম শুরু করার ৭ উপায়

Previous Post:ছুটির দিনে হঠাৎ প্রয়োজনে- ফার্মেসি ও অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজখবর
Next Post:হাঁপানি ও ইনহেলার

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top