সমস্যা: আমার বয়স ২৬ বছর। একটু ঠান্ডা লাগলে বা ধুলোবালি নাকের ভেতরে প্রবেশ করলে নাক দিয়ে পানি পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং হাঁচি শুরু হয়। একবার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না। রাতে প্রায়ই কাশি হয়। মাঝেমধ্যে কাশির জন্য রাতে ঘুমাতে পারি না। শীতের শুরুতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আমি কী সমস্যায় ভুগছি?
তারিক হাসান
ধানমন্ডি।
পরামর্শ: আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি খুব সম্ভবত অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এবং অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে ভুগছেন। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলো শ্বাসনালির প্রথমাংশ বা নাকের মিউকাস মেমব্রেন বা ঝিল্লির একধরনের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত সমস্যা।
এতে নাকের মিউকাস মেমব্রেন অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে যায়। ফলে ধূলিকণা, ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস ইত্যাদি প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং হাঁচি শুরু হয়।
মাঝেমধ্যে এই হাঁচির সঙ্গে কাশিও হয়ে থাকে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসনালির দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। এতে শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে থাকে। ফলে কোনো ধরনের উত্তেজক পদার্থ শ্বাসনালিতে প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে চাপ অনুভব এবং কখনো কখনো বুকের ভেতরে বাঁশির মতো শোঁ শোঁ আওয়াজ হয়। এ সমস্যাগুলো সাধারণত রাতে বাড়ে। কারও কারও এ সমস্যা বছরের বিশেষ সময়ে বেড়ে যায়।
আপনি কাশি ছাড়া হাঁপানির অন্যান্য উপসর্গ যেমন—শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ অনুভব করা বা বুকের ভেতরে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া অথবা আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের একই রকম সমস্যা আছে কি না লেখেননি। কোনো কোনো অ্যাজমার রোগীর শুধু কাশি ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাঁপানি রোগীর ইতিহাস, উপসর্গ এবং শারীরিক পরীক্ষা করেই নির্ণয় করা যায়। তবে আপনার রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি আপনি একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষাগুলো করে পরামর্শ নেন।
সমস্যা: বেশ কয়েক বছর ধরে আমার ধুলোবালি ও ঠান্ডা থেকে কাশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতো। দুই বছর ধরে সেরিটাইড ইভোহেলার ব্যবহার করে ভালো আছি। ইনহেলার কি দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা হতে পারে?
প্রতীক্ষা
ঢাকা।
পরামর্শ: ধন্যবাদ, আপনার চিঠির জন্য। চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে, আপনার হাঁপানি বা অ্যাজমা আছে এবং চিকিৎসা নেওয়ার পর হাঁপানির উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণে আছে।
আপনি যে ইনহেলারটি ব্যবহার করছেন, এতে নির্দিষ্ট মাত্রায় দুটি উপাদান আছে। ফ্লুটিকসন স্টেরয়েড, যা শ্বাসনালির প্রদাহ নিবারণ করে এবং সালমেটেরল যা শ্বাসনালি প্রসারিত হতে সাহায্য করে। সেরিটাইড ইভোহেলার দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে সাধারণত বড় কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। কারণ, এতে খুব স্বল্প মাত্রায় স্টেরয়েড থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কেউ দৈনিক ২০০০ মাইক্রোগ্রাম করে ২০ বছর একাধারে স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাহলে কারও কারও এর দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন—মোটা হয়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া, মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস হওয়া ইত্যাদি। কিন্তু আপনি যে ইনহেলারটি ব্যবহার করছেন, তা বিভিন্ন মাত্রায় পাওয়া যায়, এবং সর্বোচ্চ চাপ দিনে দুবার ব্যবহার করা হয়।
ফলে কোনোভাবেই দৈনিক ১০০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি প্রয়োজন হয় না।
এখানে আপনার জানা ভালো যে যদি কোনো অ্যাজমা রোগীর উপসর্গ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রতি তিন-চার মাস অন্তর ধাপে ধাপে ওষুধের পরিমাণ কমাতে হবে।
তবে একবারে ২৫ শতাংশের বেশি ওষুধ না কমানোই ভালো। এভাবে রোগের উপসর্গ যত কম থাকবে, ওষুধের পরিমাণ তত কম লাগবে। তবে কখনোই হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন: এম দেলোয়ার হোসেন
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৬, ২০১১
স্যার আমি কি করলে এবং কি খেলে আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে? দয়া করে উত্তর দিন
যে কোনো ন্যাচারাল পুষ্টিকর খাবারই শরীরের জন্য ভালো। ডিম দুধ দই মাংশ মাছ শাকসবজি ফলমূল বেশী খাবেন।
আমার বয়স 24 বছর। একটু ঠান্ডা লাগলে বা ধুলোবালি নাকের ভেতরে প্রবেশ করলে নাক দিয়ে পানি পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং হাঁচি শুরু হয়। একবার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না? ki khele kambe? osud khele kambe ki?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এধরনের ঠাণ্ডা-সর্দি-কাশির মতো খুচরো রোগবালাইয়ের দেখা দেয়। এসব একবার শুরু হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আপনা থেকেই সেরে যায়। ঔষধ খাওয়া হয় ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ কমিয়ে রাখার জন্য। তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খাবেন।
পার্মানেন্ট সল্যুশনের জন্য শারীরিক ফিটনেস বাড়াতে হবে। এ জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নাই।
আমার বয়স ২১।
অনেক দিন হচ্ছে আমার নাক দিয়ে
পানি ঝরে।আর হাচ্চি আসে।
সর্দির ঔষুধ খেলে সাময়িক বন্ধ হয়।
কিন্তু এর পর আবার শুরু হয়।রাতে ঘুমাতে অনেক সমস্যা হয়।
ডা: এর কাছে গেলে সর্দির ঔষুধ লিখে দেয় বার বার।
এই সমস্যা ২বছর এর মত হচ্ছে।
আমকে এর রোগের কোনো সমাধান দিলে খুব উপকৃত হব।
শারীরিক ফিটনেস লেভেল খুব কমে গেলে এরকম সর্দি-কাশির মত মামুলি সমস্যায় পড়তে হয়। লাইফস্টাইল উন্নত করুন, শরীরের ফিটনেস বাড়ান।
sir.hapani ki babe niyontron kora jay.borto mane ami akta ventoline inhelar use kori kinto maje maje inhelar o kaje asena.ki kora jay janale upkreto hobo.
দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় এটা ভালো হয়। ইনহেলারে কাজ না হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।
এমনিতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন। ধূলোবালি এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত যেটুকু সহ্য হয়, সেরকম হালকা ব্যায়াম করবেন। এতে ফিটনেস বাড়বে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
আমার বয়স ১৬।কিছুদিন যাবত সকালে ঘুম থেকে উঠলে আমার নাক দিয়ে পানি পড়ে আর হাঁসি আসে।কিন্তু দিনের অন্যসময় এ সমস্যা হয় না।যদি এর একটা প্রতিকার দিতেন তাহলে খুব উপকৃত হতাম।
৬ বছরে ৬ -৭ বার আক্রান্ত হয়েছি।১ বছর একদম কাশি/কফ+ শ্বাসকষ্ট প্রতিনিয়ত ছিল।বুকের পরীক্ষা সহ নানা পরীক্ষা করেও কোন সমস্যা পাওয়া যায় নি।অনেক ডাক্তারি ঔষধ খেয়েও তেমন কোন উপকার না পাওয়ায়। হোমিও+হারবালসহ অনেক ঔষধ খেয়েছি তাও কাজ হয় নি।শেষমেশ হারবাল একটা কোম্পানির ঔষধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে আসছে।শ্বাসকষ্টে/ শোঁ শোঁ শব্দটা যাচ্ছে না।কাশি সারাদিনে মাঝে মধ্যে হয়। আমার বয়স ৩১। শরীরের ওজনও সামান্য বেশি আছে। বিএমআই অনুযায়ী। রোগটা একেবারে যাচ্ছে না।আমি কি এই রোগ থেকে মুক্তি পাব?