• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

বৃক্ষাসন

September 2, 2009

বৃক্ষাসন (Vrikshasana):

পদ্ধতি:

প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান। এখন হাত দু’টো নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে রাখুন কিংবা নমস্কারের ভঙ্গিমায় রেখে মাথার উপরে তুলুন যেন হাত কানের সঙ্গে লেগে থাকে। এবার ডান পা উঠিয়ে বাঁ পায়ের উরুতে রাখুন। পায়ের পাতার নিচের দিকটা উরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০সেঃ থেকে ৩০সেঃ এ অবস্থায় থাকুন।
এরপর ডান পা নামিয়ে একইভাবে বাঁ পা উঠিয়ে আসনটি আবার করুন। এভাবে পা বদল করে করে আসনটি ছ’বার থেকে আটবার অভ্যাস করুন এবং প্রয়োজনমত শবাসনে বিশ্রাম নিন।

উপকারিতা:
এ আসন অভ্যাসে দেহের ভারসাম্য ঠিক থাকে। পায়ের ধমনী, শিরা, পেশী ও স্নায়ু সতেজ ও সক্রিয় থাকে এবং পায়ের, কোমরের ও মেরুদণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও উরুর সংযোগস্থলের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। বাতরোগ হতে মুক্ত রাখে এবং পায়ের গঠন দৃঢ় ও সুন্দর হয়।

অধো মুখ বৃক্ষাসন (Adho Mukha Vrikshasana)
পদ্ধতি:
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর উবু হয়ে দু’হাতের তালু মাটিতে স্থাপন করুন। এখন দু’হাতের উপর ধীরে ধীরে শরীরের ভারসাম্য স্থাপন করে পা দু’টো মাটি থেকে শূন্যে তুলতে থাকুন এবং মাটির সাথে উল্বম্বভাবে শরীরটাকে সোজা উপরে খাড়া করে রাখুন। এ অবস্থায় শরীর বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকবে অর্থাৎ মাথা নিচের দিকে এবং পা দুটো সোজা শূন্যে উপরের দিকে থাকবে। মাথাটাকে ঘাড় থেকে বাঁকিয়ে সামনের দিকে দেখার চেষ্টা করুন। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ১০সেঃ থেকে ২০সেঃ এ অবস্থায় থাকুন।
অতঃপর ধীরে ধীরে পা দুটো ভাঁজ করুন এবং কোমর থেকে বাঁকিয়ে সাবধানে পা দুটো ফের মাটিতে নামিয়ে আনুন। প্রয়োজনমত শবাসনে বিশ্রাম নিন।

উপকারিতা:
শীর্ষাসনের সব উপকার এ আসনে পাওয়া যায় এবং হাতের গঠন দৃঢ়, সুন্দর ও সতেজ হয়ে ওঠে। এ আসন অবস্থায় হৃৎপিণ্ড মাথার উপরে থাকে এবং শিরা, উপশিরা, ধমনী সবই বিপরীতমুখী হয় বলে খুব সহজে হৃৎপিণ্ড মস্তিষ্কে প্রচুর রক্ত সঞ্চালিত করতে পারে। মস্তিষ্ক ও গলদেশ রক্তে প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে মাথায় ও গলদেশে অবস্থিত সমস্ত গ্রন্থি ও স্নায়ুজাল রক্ত থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দ্রুত সংগ্রহ করে সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে পারে। মাথার সবগুলো স্নায়ুজাল রক্তে প্লাবিত হয় বলে চোখ, কান, নাক ও দাঁতে সহজে কোন রোগ আক্রমণ করতে পারে না। লালাগ্রন্থি বা স্যালভারী গ্রন্থির নিঃসরণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বলে খাদ্যবস্তু সহজে হজম হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা ইত্যাদি রোগ হতে পারে না। থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে দেহের সমস্ত গ্রন্থি ও স্নায়ুজাল সুস্থ ও সক্রিয় থাকে। কোনদিন টনসিলের সমস্যা হয় না। আসন অবস্থায় হৃৎপিণ্ড কিছুক্ষণ মাধ্যাকর্ষণের বিপরীত অবস্থানে থাকে এবং মাধ্যাকর্ষণ থেকে অব্যাহতি পায়, ফলে তার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পিনিয়াল গ্রন্থি ও পিটুইটারি গ্রন্থি সুস্থ ও সক্রিয় থাকে, ফলে মনের শক্তি, স্মৃতিশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি পায়। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, কর্মবিমুখতা, মাথাধরা, লিকুরিয়া, রক্তাল্পতা, অর্শ, একশিরা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগ হতে পারে না। কোন স্ত্রীরোগ সহজে আক্রান্ত করতে পারে না। আসনটি নিয়মিত অভ্যাস রাখলে স্থানচ্যুত জরায়ু ঠিক জায়গায় ফিরে আসে।

নিষেধ:
যাদের কোন হৃদরোগ বা রক্তচাপ বৃদ্ধিজনীত রোগ আছে, তাদের রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত এ আসন করা ঠিক নয়। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের এ আসন করা উচিৎ নয়। প্রাতঃক্রিয়াদি সম্পন্ন না করে, স্নান বা প্রাণায়াম করার ঠিক পরে অথবা কোন শ্রমসাধ্য ব্যায়ামের পর বিশ্রাম না নিয়ে এ আসন করা কখনও উচিৎ হবে না।

Previous Post: « ব্যাঘ্রাসন
Next Post: ভটনাসন »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top