• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

জলবসন্ত নিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তি

December 30, 2007

জলবসন্ত বা চিকেনপক্স হাম ও ডেঙ্গুর মতো একধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। গুটিবসন্ত নির্মূল হলেও এ জলবসন্তকে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। জলবসন্ত গুটিবসন্তের মতো প্রাণসংহারী রোগ না হলেও রোগটি নিয়ে জনমনে নানা ধরনের কুসংস্কার ছাড়াও ভীতি রয়েছে। একবার কোনো পরিবারে বসন্ত দেখা দিলে তাদের আশপাশে এমনকি সেবার জন্যও লোকজন খুঁজে পাওয়া যায় না। জলবসন্ত অত্যন্ত ছোঁয়াচে হলেও রোগীর সংস্পর্শে এলেই যে তা নিশ্চিত ছড়িয়ে পড়বে­ এ ধারণাটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়।

জলবসন্ত সাধারণত রোগীর একেবারে সংস্পর্শে এলে তার কফ, শ্বাস-প্রশাসের সাথে নির্গত হওয়া জীবাণু অথবা বসন্তের কারণে সৃষ্ট ক্ষতের নিবিড় সংস্পর্শে রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবীরা এসব রোগীর মুখে মাস্ক বা কাপড় বেঁধে সেবাদান করে থাকেন। অনেকের আবার ধারণা, ত্বকের ওপর সৃষ্ট শুকনো খোসাগুলো রোগের উৎস। সুতরাং এদের পুড়িয়ে ফেলতে হবে। অথচ সত্যটি হলো, ত্বকের ক্ষত কাঁচা অবস্থাতেই রোগটি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সর্বাধিক। অনেকের ধারণা, পক্স হলেই দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ ধারণাটিও ঠিক নয়। বরং যাদের একবার ভেরিমেলা বা চিকেনপক্স দেখা দিয়েছে হারপিস রোগীর সংস্পর্শে এলে তাদের অপেক্ষাকৃত মারাত্মক হারপিসজনিত ভাইরাসের শিকার হতে হয়। এ ছাড়া পুষ্টিহীনতা, এইডস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেলে একাধিকবার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অনেকেই জলবসন্ত হলে মাছ, ডাল, গোশত­ এসব খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন, পাছে বসন্তের ক্ষত যেন না বেড়ে যায়। এ ধারণাটিও অমূলক। পক্সে আক্রান্ত রোগীর জন্য সব খাবার উন্মুক্ত। তবে মুখের তালু ও অভ্যন্তরে পক্সের গুটি দেখা দেয়ায় এ সময় ঝালযুক্ত খাবার না খাওয়ানোই শ্রেয়।

পক্সের দাগ বা ক্ষতের চিহ্ন কমানোর জন্য অনেকেই ডাবের পানি দিয়ে গোসল করে থাকেন। এ ধরনের কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত নয়। জলবসন্ত দেখা দিলে ত্বকের ক্ষতটি কোনোক্রমেই চুলকানো যাবে না। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। ক্ষতটি যেন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে পেকে না যায় সে কারণে ক্ষতের ওপর প্রয়োজনে ক্যালমিন লোশন বা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল দ্রবণের প্রলেপ দেয়া যেতে পারে। জলবসন্ত সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ। তবে অবহেলা করলে এ রোগ থেকেও অন্ধত্ব ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা থেকে জীবনহানি ঘটতে পারে। সুতরাং জলবসন্তের সময় নিজেকে নিরাপদে সরিয়ে রাখা, আক্রান্ত শিশু বা শিক্ষার্থীদের শিক্ষায়তনে না পাঠানো এবং আক্রান্ত হলে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণসহ পূর্ণ বিশ্রাম নিলে রোগটি আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়।
লেখকঃ ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার
দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৩০শে ডিসেম্বর ২০০৭

Previous Post: « প্রাথমিক পর্যায়ে এলার্জি ও অ্যাজমা রোগ নির্ণয়
Next Post: মেডিক্যাল কেস হিস্ট্রিঃ শিশুকে নিরাপদ রাখুন »

Reader Interactions

Comments

  1. শুভ

    April 14, 2012 at 2:08 pm

    আমার বয়স ২০ বছর। ৪ দিন ধরে আমার বসন্তের লক্ষন দেখা যাচ্ছে। প্রথম ২ দিন জ্বর ছিল। কিন ৪ দিনে আমার দেহে বেশি হলে ৮/১০ টা ফুস্কুরি আছে(একটা বড় বাকী গুলো মশার কামরের মত)। তাহলে আমার কি সেরে উঠতে বেশি সময় লাগবে? আমার সামনে পরীক্ষা তাই চিন্তায় আছি।

    Reply
    • Bangla Health

      April 16, 2012 at 8:54 am

      ৪ দিনে যদি ৮/১০টা হয় তাহলে এর প্রকোপ খুব বেশি নয়। সেরে উঠতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। খাওয়া-দাওয়া ঠিক রাখবেন যাতে শরীর দূর্বল না হয়ে পড়ে।

      Reply
      • শুভ

        April 22, 2012 at 7:03 pm

        ধন্যবাদ। আমার ক্ষতগুলো প্রায় শুকিয়ে গেছে। আমার আর কত দিন বাসায় থাকতে হবে? আমি আক্রান্ত হয়েছি ১১ দিন হল।

      • Bangla Health

        April 24, 2012 at 4:45 am

        একেবারে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকেন। আর বেশিদিন লাগবে না।

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top