• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক / PDF
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

বাতজ্বরের মূল উৎস টনসিলের প্রদাহ

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / বাতজ্বরের মূল উৎস টনসিলের প্রদাহ

বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত টনসিলের সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে চিকিৎসাব্যবস্খা করা না হলে প্রদাহের ২-৩ সপ্তাহ পর বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিভার নামক এক জটিল রোগ হতে পারে।

দূষিত খাদ্য ও অস্বাস্খ্যকর পরিবেশের মাধ্যমে বিস্তারিত এই জীবাণুর সংক্রমণ হলে সাধারণত টনসিল ও গলবিল লাল হয়ে যায়, কখনো লাল পর্দা জমা হয়। শিশুর গলাব্যথা হয়, গলা ফুলে যায়, ঢোক গিলতে কিংবা কোনো কিছু খেতে কষ্ট হয় এবং জ্বর থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীর তেমন কাশি থাকে না এবং চোখ-নাক দিয়ে পানিও পড়ে না।

হয়তো মনে প্রশ্ন জাগবে বাতজ্বর কী?
হ্যাঁ, এটি হচ্ছে বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণুর প্রদাহজনিত একটি রোগ, যা শিশুর হৃৎপিণ্ডের ভাল্ব নষ্ট হওয়ার মতো ভয়াবহ ও ব্যয়বহুল রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি হয় ৫-১৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের।

বাতজ্বর নির্ণয়ের উপায়?
প্রথমত, শিশুর শরীরে এ রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়া যেগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা যায় : এক. কিছু মুখ্য লক্ষণ, দুই.

কিছু গৌণ লক্ষণ। মুখ্য লক্ষণ রয়েছে ৫টি। যেমনঃ

* হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ, যা হলে রোগীর জ্বর, বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফর করা, নাড়ীর গতি বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা হয়।
* গিরায় ব্যথা, যা হলে মূলত বড় গিরায় যেমন হাঁটু, গোড়ালি, হাতের কবজি, কনুই ও কোমরে ব্যথা হয়, ফুলে যায় ও লালচে বর্ণ ধারণ করে। প্রথমে যেকোনো একটি গিরায় ব্যথা ও ফোলা থাকে, তার সেই গিরার ব্যথা ও ফোলা ২-৩ দিন পর কমে গিয়ে আরেকটি গিরাকে আক্রান্ত করে। এভাবে প্রদাহ এক গিরা থেকে অন্য গিরায় ছড়িয়ে পড়ে।
* ইরিথেমা মারজিনেটাম অর্থাৎ বুকে ও পিঠের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন আকৃতির লাল বর্ণের চাকা দেখা দেয়া, যেগুলোতে কোনো ব্যথাও হয় না, আবার চুলকায়ও না, তবে একটু ফুলে ওঠতে পারে এবং আপনা আপনি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যায়।
* সিডেনহ্যাম কোরিয়া, যা মস্তিষ্কের এক ধরনের সমস্যা। এর ফলে রোগীর মেজাজ খুব খিটখিটে হয়। হাত-পা বা শরীরের কোনো অংশ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অযথা কাঁপতে থাকে।
* চামড়ার নিচে ছোট দানা, যেগুলো সিমের বীচির মতো আকৃতির, শক্ত ও ব্যথাযুক্ত। এগুলো সাধারণত কনুই, ঘাড়, কবজি বা পায়ের সামনের দিকে দেখা যায়।

গৌণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
* স্বল্পমাত্রার জ্বর ও শুধু গিরার ব্যথা।
* রক্তে ইএসআর এবং এএসও টাইটার বেশি হওয়া। অতএব, একটি শিশু বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এটা ঠিক তখনই বলা যাবে, যদি তার মধ্যেঃ ওপরের যেকোনো একটি মুখ্য লক্ষণের সাথে দু’টি গৌণ লক্ষণ থাকে অথবা ওপরের যেকোনো দু’টি মুখ্য লক্ষণের সাথে একটি গৌণ লক্ষণ এবং এর সাথে সাম্প্রতিক বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলা প্রদাহের ইতিহাস থাকে।

এএসও টাইটার বিষয়ক যত কথা হলো, মাত্র রক্তে এর পরিমাণ বেশি হলেই শিশুকে বাতজ্বরের চিকিৎসা দেয়া ঠিক নয়।

উপসংহারে বলা যায়, টনসিলের মতো সাধারণ প্রদাহ থেকে প্রতিরোধে শিশুর গলাব্যথায় গুরুত্বারোপ করা প্রতিটি অভিভাবকের মৌলিক দায়িত্ব।

লেখকঃ ডা. বিমল কুমার আগরওয়ালা
উৎসঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২৫শে নভেম্বর ২০০৭

November 25, 2007
Category: স্বাস্থ্য সংবাদTag: কাশি, গলা, ঘাড়, টনসিল, বাতজ্বর, ব্যাকটেরিয়া, মস্তিষ্ক

You May Also Like…

নখ দেখে যেসব রোগবালাই চেনা যায়

কোন ধরনের ব্যথায় গরম সেঁক উপকারী

মাসিকের ব্যথা কমাতে খাদ্যের ভূমিকা 

কিশোরীদের অনিয়মিত মাসিক 

Previous Post:অ্যাজমা
Next Post:মুখের যত দাগ

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top