• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

স্বাস্থ্য কথা

লাইফস্টাইল

শরীরচর্চা

১৮+

দৌড়ানো : সম্পূর্ণ গাইড (সংক্ষিপ্তাকারে)

December 17, 2011

কেন দৌড়াবেন-

নিয়মিত দৌড়ানোর যত প্রধান কারণ আছে তার মধ্যে প্রধান হলো- ওজন কমানো, রোগ-জীবানু প্রতিরোধ করা এবং আরো শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।
সব ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে দৌড়ানোর উপায় এবং নিয়মকানুন খুব সহজ।
পৃথিবীতে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের মধ্যে দৌড়ানো মানুষের সংখ্যাই বেশী।
যে কোনো শারীরিক গঠন ও বয়সের মানুষই দৌড়াতে পারেন।
দৌড়ানো এবং জগিং করার মধ্যে সত্যিকারের কোনো তফাত নেই।
দৌড়ানোর ফলে বাত বা প্রদাহ হয় না।

আরো কিছু তথ্য-

ডায়েট কন্ট্রোলের চেয়ে দৌড়িয়ে ওজন কমানো অনেক ভালো এবং সহজ উপায়।
৩৫ মাইল দৌড়ানো মানে ১ পাউণ্ডের সমান চর্বি কমানো।
দৌড়ালে হৃদ রোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
সাধারণ মানুষের চেয়ে দৌড়বিদদের হাড় এবং ফুসফুস অনেক শক্তিশালী হয়।
সাধারণ মানুষের চেয়ে দৌড়বিদদের আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক সতর্কতা অনেক বেশী থাকে।
সপ্তাহে কমপক্ষে ২০ মাইল করে দৌড়ালে আয়ু প্রায় ২ বছর বেড়ে যেতে পারে।

দৌড়ানোর প্রাথমিক ধাপ-

দৌড়ানো শুরুর প্রাথমিক ধাপে হাঁটা এবং দৌড় মিশিয়ে শুরু করলে ভালো ফল পাবেন।
দোড় শুরু করার আগে শরীর গরম করে নেয়া উচিত। হালকা স্ট্রেচিং বা একটু হেঁটে নিয়ে তারপর দৌড় শুরু করা উচিত।
প্রথম কয়েক মাসে দৌড়ের গত এত কম রাখা উচিত যাতে দৌড়ের মাঝেও আলাদা দম না নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারেন।
প্রথমদিকে পেটে বা পায়ে ব্যথা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এটা প্রথমেই বেশী গতিতে দৌড়ানোর ফলে হয়।
অন্যরা কিভাবে দৌড়ায় সেটা না দেখে নিজে যেভাবে ভালো এবং আরামদায়ক মনে করেন সেভাবেই দৌড়ানো উচিত।

কোথায় দৌড়াবেন-

কোথায় দৌড়বেন সেটা বড় ব্যাপার না, তবে নিরাপত্তার দিকটা সর্বাগ্রে খেয়াল রাখা উচিত। গাড়ি, কুকুর বা সন্দেহজনক লোকজনের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
মাঠ, ট্রাক, পার্ক এবং রাস্তা হলো দৌড়ানোর জন্য সাধারণত উপযুক্ত জায়গা। তবে রাস্তা খুব শক্ত বলে প্রথম দিকে পায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আবার দৌড়ানোর ট্রাক অনেক সময় একঘেয়ে লাগতে পারে।
পায়ে অযথা আঘাত এড়িয়ে দৌড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো সমান এবং নরম ঘাসের মাঠ।
কখনো কখনো রাস্তার পাশে বা সাগর পাড় ভালো জায়গা হতে পারে।
যখন ভ্রমণ করবেন তখন ঐ এলাকার দৌড়ানোর ক্লাব বা দোকানে জিজ্ঞেস করলে ভালো জায়গার সন্ধান পেয়ে যাবেন।

সকাল, দুপুর নাকি বিকেল: কখন দৌড়াবেন-

কাজের বাইরেও নিয়মিত দৌড়ানোর জন্য সময় প্রায় সবারই থাকে।
আপনাকে সপ্তাহের ১৬৮ ঘন্টা থেকে মাত্র ৩ ঘন্টা সময় বের করে নিতে হবে সারা সপ্তাহের দৌড়ানোর জন্য।
সবচেয়ে ভালো সময় হলো আপনি কখন প্রতিনিয়ত দৌড়ানোর জন্য সময় বের করতে পারবেন।
এমন ভাবে প্লান করুন যাতে প্রতিবার এই একই সময়ে দোড়াতে পারেন।
যারা খুব ব্যস্ত তারা সকালে ঘুম থেকে উঠার পরের সময়টা নির্বাচন করলে সুবিধা পাবেন।
ভোরে দৌড়ানোর আরেকটা সুবিধা হলো- এই সময় পেটে খাবার থাকে না বলে দৌড়ানোর জন্য বাড়তি শক্তিটা শরীরের চর্বি থেকে আসবে এবং চর্বি কমার হার বেড়ে যাবে।
একদিন পর পর সপ্তাহে ৩/৪ দিন দৌড়ানোর চেষ্টা করবেন।

প্রেরণা বা উদ্যম বা মনোবল ধরে রাখতে হবে-

দুদিন দৌড়িয়েই বেশী আশা করবেন না। এতে মনোবল ভেঙে যাবে।
এমন ভাবে অল্প অল্প করে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করবেন যাতে ঐ সময়ের মধ্যে সেটা নিজের পক্ষে অর্জনযোগ্য হয়। এভাবে অল্প অল্প করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে এবং আরো দৌড়ানোর প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।
লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করতে হবে। একটু চ্যালেঞ্জিং হলেও সাধ্যের মধ্যে থাকতে হবে।
একটা আলাদা খাতা বা ডায়েরী রাখতে হবে এবং তাতে প্রতিটা দৌড়ের হিসাব বিস্তারিত ভাবে লিখে রাখতে হবে। এতে সহজে উন্নতি তুলনা করতে পারবেন।
দৌড়ের সাথে একই ধরনের ব্যায়াম যোগ করলে উদ্যম ঠিক থাকবে।
কখনোই অতিরিক্ত দৌড়াবেন না। এতে শরীরে ক্লান্তি আসবে, তখন দৌড়ানোর ইচ্ছা কমে যেতে পারে। তাছাড়া এতে শরীরেও অহেতুক আঘাত লেগে যেতে পারে।

সঠিক উপকরণ-

দৌড়ানোর জন্য আলাদা জুতা পাওয়া যায়। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালো রার্নিং স্যু অনেক আঘাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে।
পারফেক্ট রার্নিং স্যু বলে কোনো ব্যাপার নাই। যেটা নিজের কাছে আরামদায়ক মনে হয় সেটাই সবচেয়ে ভালো।
পা মাটিতে পড়ার পরে আপনি কেমন অনুভব করছেন সেটা বুঝেই আপনি ঠিক করতে পারবেন কোনটা আপনার জন্য ভালো রার্নিং স্যু।
সাধারণ জুটার চেয়ে রার্নিং স্যুর দাম তুলনামূলক ভাবে একটু বেশী হলেও মেনে নেবেন।
অন্য কাজে ব্যবহার না করলে এক জোড়া নতুন রার্নিং স্যু দিয়ে সাধারণত ৫০০-৬০০ মাইল দৌড়াতে পারবেন।
রার্নিং স্যুর জন্য আলাদা দোকান আছে। সেখান থেকে কিনলে সুবিধা পাবেন।

জুতা ছাড়াও খাটো বা ফুল প্যান্ট বা গেঞ্জির দরকার আছে।
সাধারণ আবহাওয়ায় সুতীর জামাকাপড় ঠিক আছে, কিন্তু অত্যাধিক গরম বা শীতের সময় এসব ঘামে ভিজে গেলে সমস্যায় পড়বেন।
গরম এবং শীতের সময় এমন গেঞ্জি ব্যবহার করুন যাতে আপনার শরীরের ঘাম গেঞ্জির মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। জুতা কেনার দোকানে বললেই এসব পেয়ে যাবেন।
শীতের সময় আরামের জন্য কয়েকটা স্তরে জামা-কাপড় পড়ে নেবেন।
মেয়েরা সুন্দর ফিটিং এবং কোয়ালিটির স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার করতে পারেন।
মোজাও ভালো ভাবে ফিট হওয়া উচিত। কিসের তৈরী সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এছাড়া একটা ভালো ডিজিটাল স্পোর্টস হাতঘড়ি থাকলে ভালো হয়।
ওয়েদার খারাপ হলে ট্রেডমিল একটা বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে। তবে যথেষ্ট ব্যবহার করা না হলে নিজ বাড়িতে না কেনাই ভালো।

স্ট্রেচিং-

দৌড়ানোর আগে ভালোকরে স্ট্রেচিং করে নিলে দৌড়ানোর সময় আরাম পাবেন এবং আঘাত পাওয়ার ঝুকি অনেক কমে যাবে।
দৌড় শেষ হবার পরও আরেকবার স্ট্রেচিং করে নেয়া উচিত।
স্ট্রেচিং আস্তে আস্তে আলতো ভাবে করা উচিত। প্রতিটা স্ট্রেচ ১৫ থেকে ৩০ সেকেণ্ড ধরে রাখা উচিত।
স্ট্রেচিং করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো পায়ের পিছনের দিকটা। যেমন: পায়ের ডিম বা গুল (calves), হাঁটুর পশ্চাদ্ভাগে অবস্থিত পায়েব শিরা (hamstring), নিতম্ব এবং পশ্চাতভাগ।
মাসে কয়েকবার স্পোর্টস ম্যাসাজ নিতে পারলে শরীরের নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করবে।

অন্যান্য ব্যায়াম-

যদি জিমে গিয়ে হালকা ওজন নিয়ে প্রাথমিক ধাপের কিছু ব্যায়াম (বিশেষ করে শরীরের উর্ধাংশের) করেন তাহলে আরো সহজে দৌড়াবে পারবেন।
এটা সপ্তাহে ২ বা ৩ দিন করলেই যথেষ্ট।
এগুলো নিতান্তই হালকা ব্যায়াম। বডি বিল্ডাররা যেমন করে পেশী দৃঢ় করা জন্য, সেরকম ভারী ব্যায়াম নয়।
সাধারণত পেট, পিঠ, বাহু ও কাধের ব্যায়াম করলেই চলে।
অনেকে পায়ের ব্যায়ামও করেন তবে এটা অনেকের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।

আঘাত এবং ব্যথা-

বেশীর ভাগ আঘাত এবং ব্যথা সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত দৌড়ানোর ফলে। একটু সচেষ্ট থাকলেই এগুলো এড়ানো সম্ভব।
ধীরে ধীরে দৌড়ের গতি বা সময় বাড়ানো, নরম মাঠে দৌড়ানো, সঠিক ভাবে স্ট্রেচিং করা, জিমে হালকা ব্যায়াম করা- এগুলো আঘাত বা ব্যথা এড়াতে সাহায্য করে।
বেশিরভাগ দৌড়ের ব্যথা একটু বিশ্রাম নিলে বা হালকা চিকিৎসা করলেই সময়ের সাথে চলে যায়।
দৌড়াতে গিয়ে ব্যথা পেলে কখনোই গরম ছ্যাক দেবেন না বরং বরফ বা ঠাণ্ডা কিছু লাগাবেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তার দেখানোর দরকার হয় না।
একান্তই ডাক্তার দেখাতে হলে স্পোর্টস মেডিসিন ডাক্তার দেখাতে পারলে ভালো হয়।

ডায়েট-

স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং দৌড়াতে সমর্থ থাকতে হলে ভালো ডায়েটের কোনো বিকল্প নাই।
দৌড়াতে যাওয়ার আগে খাওয়া ঠিক নয়। কমপক্ষে খাওয়ার দুইঘন্টা পরে দৌড়াতে বা ব্যায়াম করতে যাওয়া উচিত।
ভালো ডায়েট বলতে সাধারণত প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর খাবারকেই বুঝায় যা সবারই খাওয়া উচিত।
প্রতিদিনের খাবারে ৫০% কার্ব, ৩০% প্রোটিন এবং ২০% ফ্যাট রাখতে পারলে ভালো।

ক্রশ ট্রেইনিং-

দৌড়ের সাথে এরকম অন্য কোনো এরোবিক ব্যায়াম করা যেতে পারে। এতে ওজন কমা সহ মনোযোগ ঠিক থাকবে এবং আঘাত বা ব্যথা পাবার ঝুকি কম থাকবে।
দৌড়ানোর পাশাপাশি সপ্তাহে দুইদিন সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা বেত লাফাতে পারেন।
ক্রশ ট্রেইনিং একটা বাড়তি ব্যায়াম যা কখনোই দৌড়ানোর বিকল্প হিসাবে নেবেন না। তারমানে ক্রশ ট্রেইনিং করুন আর না করুন, সপ্তাহের দৌড়ের দিনগুলোতে অবশ্যই দৌড়াবেন।

শুধু মেয়েদের জন্য-

দৌড়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে কোনো ভেদাভেদ নাই।
শুধু শারীরিক গঠনের জন্য গড়ে মেয়েরা গড়ে ছেলেদের চেয়ে একটু ধীরগতির হতে পারেন।
মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য থাকলেও দৌড় বেশির ভাগ মেয়েদের মাসিকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপকারী।
দৌড়ানো মেয়েদের অন্যান্য মেয়েদের চেয়ে বেশী আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় হালকা দৌড়ালে সেটা মা এবং ভ্রুণ গর্ভস্থ সন্তান উভয়ের জন্যই নিরাপদ।

গরম, ঘাম ও পানিশূণ্যতা-

দৌড়ানোর সময় যতটুকু ওজন হারাচ্ছেন, পানিশূন্যতার কারণে যদি তার শতকরা এক ভাগও হারান তাহলে আপনার দৌড়ানোর কার্যকারিতা শতকরা ৩ ভাগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
পিপাসা পাওয়া মানেই আপনি অনেক আগেই পানিশূণ্যতায় ভুগছেন।
পানিশূণ্যতা রোধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একবারে অনেক পানি পান না করে সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে পানি পান করে যাওয়া।
গরমের দিনের চেয়ে শীতের দিনে দৌড়ানো অনেক ভালো।
রোদের মধ্যে দৌড়াতে হলে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিলে ভালো হয়। লোশনের SPF মাত্রা ১৫-এর বেশি হওয়া উচিত।
তাছাড়া মাথা ঢাকতে টুপি এবং স্পোর্ট সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।

———————————————-

প্রাথমিক পর্যায়ের রানারদের জন্য একটি দৌড়ানোর সূচি-

সপ্তাহ#১

দৌড়#১ : প্রথম ১০ মিনিট হাঁটুন। পরের ১০ মিনিটে ১ মিনিট করে দৌড়াবেন, ১ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ১০ মিনিট হাঁটবেন।
দৌড়#২ : প্রথম ১০ মিনিট হাঁটুন। পরের ১৫ মিনিটে ১ মিনিট করে দৌড়াবেন, ১ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ৫ মিনিট হাঁটবেন।
দৌড়#৩ : প্রথম ১০ মিনিট হাঁটুন। পরের ১৫ মিনিটে ২ মিনিট করে দৌড়াবেন, ১ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ৫ মিনিট হাঁটবেন।
দৌড়#৪ : প্রথম ৫ মিনিট হাঁটুন। পরের ২১ মিনিটে ২ মিনিট করে দৌড়াবেন, ১ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ৪ মিনিট হাঁটবেন।

সপ্তাহ#২

দৌড়#১ : প্রথম ৫ মিনিট হাঁটুন। পরের ২০ মিনিটে ৩ মিনিট করে দৌড়াবেন, ১ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ৫ মিনিট হাঁটবেন।
দৌড়#২ : প্রথম ৫ মিনিট হাঁটুন। পরের ২১ মিনিটে ৫ মিনিট করে দৌড়াবেন, ২ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ৪ মিনিট হাঁটবেন।
দৌড়#৩ : প্রথম ৪ মিনিট হাঁটুন। পরের ২৪ মিনিটে ৫ মিনিট করে দৌড়াবেন, ১ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ২ মিনিট হাঁটবেন।
দৌড়#৪ : প্রথম ৫ মিনিট হাঁটুন। পরের ২২ মিনিটে ৮ মিনিট করে দৌড়াবেন, ৩ মিনিট করে হাঁটবেন। শেষ ৩ মিনিট হাঁটবেন।

সপ্তাহ#৩

দৌড়#১ : ৫ মিনিট হাঁটুন। ১০ মিনিট দৌড়ান। ৫ মিনিট হাঁটুন। ৫ মিনিট দৌড়ান। ৫ মিনিট হাঁটুন।
দৌড়#২ : ৫ মিনিট হাঁটুন। ১২ মিনিট দৌড়ান। ৩ মিনিট হাঁটুন। ৫ মিনিট দৌড়ান। ৫ মিনিট হাঁটুন।
দৌড়#৩ : ১০ মিনিট হাঁটুন। ১৫ মিনিট দৌড়ান। ৫ মিনিট হাঁটুন।
দৌড়#৪ : ৬ মিনিট হাঁটুন। ১৮ মিনিট দৌড়ান। ৬ মিনিট হাঁটুন।

সপ্তাহ#৪

দৌড়#১ : ৫ মিনিট হাঁটুন। ২০ মিনিট দৌড়ান। ৫ মিনিট হাঁটুন।
দৌড়#২ : ৫ মিনিট হাঁটুন। ২২ মিনিট দৌড়ান। ৩ মিনিট হাঁটুন।
দৌড়#৩ : ৩ মিনিট হাঁটুন। ২৫ মিনিট দৌড়ান। ২ মিনিট হাঁটুন।
দৌড়#৪ : ৩০ মিনিট দৌড়ান।

এভাবে প্রথম মাসে ৩০ মিনিট দৌড়তে পারলে পরের মাস থেকে দৌড়ানোর আগে আর পরে সবসময় ৫ মিনিট করে যোগ করবেন। ধীরে ধীরে মাঝের দৌড়ানোর সময়টা একটু একটু করে বাড়াবেন। দুই/তিন মাসের মধ্যে দৌড়ানোর সময় ৪৫ মিনিট করে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
২/৩ মাস পর এই ৪৫ মিনিটের দৌড়ের গতি ধীরে ধীরে বাড়াবেন। একটা পর্যায়ে ৪৫ মিনিটে ৪ মাইল দৌড়াতে পারবেন।

শেয়ার করুন :

Share on Facebook Share on Twitter Share on WhatsApp Share on Email
Previous Post: « হাইড্রোসিল : পুরুষের একান্ত রোগ
Next Post: মাসিক নিয়মিতকরণ বা এম.আর (Menstrual Regulation) »

Reader Interactions

Comments

  1. mithun

    December 30, 2011 at 9:54 pm

    আমি কলকাতায় থাকি । এখানে জগিং বা দৌরনোর মত মাঠ আছে কিন্তু আমি জানি না
    আমার ঘরে দৌরনোর মেসিন আছে ওটা দিয়ে কাজ চলবে?

    Reply
    • Bangla Health

      January 2, 2012 at 2:27 am

      বাইরে দৌড়ানোর ব্যবস্থা না থাকলে ট্রেড মিলে দৌড়ানো যেতে পারে।

      Reply
  2. রনিয়া

    December 30, 2011 at 9:57 pm

    আমি কলকাতায় থাকি । এখানে জগিং বা দৌরনোর মত মাঠ আছে কিন্তু আমি জানি না
    আমার ঘরে দৌরনোর মেসিন আছে ওটা দিয়ে কাজ চলবে?

    Reply
  3. মিলি

    March 26, 2012 at 8:53 pm

    মেয়েদের মাসিকের সময় কি ব্যায়াম যেমনঃ দৌড়ানো,ওয়েট ট্রেনিং,ফ্রীহ্যান্ড করা যায়?এতে কি কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে?জানালে উপকৃত হব।

    Reply
    • Bangla Health

      March 30, 2012 at 3:15 am

      অবশ্যই করা যায়। কোন সমস্যা নেই। বরং এতে উপকার অনেক। মাসিকের সময়কার অযথা ব্যথা বা মাসল ক্রাম্পের হাত থেকে বাঁচা যায়। তবে বাড়তি কিছু করবেন না। নিয়মিত যেভাবে ব্যায়াম করে আসছেন, সেভাবেই করবেন। বাড়তি চাপ নিবেন না। মাথা নিচে, পা উপরে দিয়ে করা লাগে- এমন ব্যায়ামগুলো এড়িয়ে যাবেন।

      Reply
  4. sajib talha

    April 23, 2012 at 4:04 pm

    কত বছর বয়স থেকে ব্যায়াম করলে কোনো সমস্যা হয় না?

    Reply
    • Bangla Health

      April 24, 2012 at 7:46 pm

      যে কোন বয়সেই করা যায়। তবে ছোট বেলা যখন হাঁড় নরম থাকে তখন হেভিওয়েট ব্যায়াম না করে অন্যান্য খেলাধূলা করা উচিত। বয়স বাড়তে শুরু করলে তখন জিমে ব্যায়াম করা যেতে পারে।

      Reply
  5. মিলি

    May 8, 2012 at 10:13 pm

    ধন্যবাদ।আমার আর একটি বিষয় জানার ছিল।ব্যায়াম এবং ডায়েট কন্ট্রোল করার পর অনেক ওজন কমিয়েছি।কিন্তু এখন কপালের রগ দেখা যাচ্ছে।যা খুব বাজে দেখায়।কিভাবে ব্যায়াম ও ডায়েটের মাধ্যমে একই সাথে ওজন ও নিয়ন্ত্রনে রাখব আবার সাথে সাথে মুখটা যাতে না শুকিয়ে যায় এ ব্যাপারটাও ঠিক রাখবো,দয়া করে একটু জানাবেন?

    Reply
    • Bangla Health

      May 9, 2012 at 9:11 pm

      খুব সম্ভবত খাওয়া খুব বেশি কমিয়ে দিয়েছেন। নিয়মিত ব্যায়াম করে যান, এবং সেই সাথে শরীরের চাহিদা মত খেয়ে যান। ঘুম কমাবেন না।

      Reply
  6. anam

    May 12, 2012 at 5:04 am

    আমার বয়স ২৬, উচ্চতা-ওজন স্বাভাবিক(১৬৫সে.মি.-৬৪কেজী)। কিন্তু নিজেকে স্থুল মনে হয় আর ইদানীং পেট অনেকটা স্ফীত হয়ে যাচ্ছে। আমি মেসে থাকি, জীমনেসিয়াম অনেক দুরে। শুধু সকাল বেলা দৌড়ালে কি পেট কমবে? তাছাড়া মেসের খাওয়া দাওয়া কি প্র্রভাব ফেলছে?মেসে শাক সবজী রান্না খুব ই কম হয় এবং তিন বেলা ভাত খাই। কি করে আমি আমার ফিটনেস বাড়াতে পারবো?

    Reply
    • Bangla Health

      May 12, 2012 at 8:26 pm

      আপনি স্থূল নন। তবে পেট বেড়ে গেলে সকালে দৌড়াতে পারেন। সেই সাথে কিছু পেটের ব্যায়াম (ক্রাঞ্চ)। সন্ধ্যার পরে ভাত বা অন্য কোন কার্ব জাতীয় খাবার খাবেন না। একবারে বেশি করে না খেয়ে ২/৩ ঘন্টা পর পর অল্প অল্প খাবেন। এতে মেদ জমার সম্ভাবনা কমে যাবে।

      Reply
  7. Bangla Health

    June 24, 2012 at 12:34 am

    কি ধরনের দুর্ঘটনা?
    ব্যায়াম করতে পারেন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না করা যেকোন পুষ্টিকর খাবারই খেয়ে পারেন।

    Reply
  8. Abir

    June 24, 2012 at 6:18 pm

    Sir,ami abir. Goto 2 year age ak accidient a amar payer girar aktu opore vangga giasilo.3 month pongu hospitale chikitsa niasi but now amar pa akhon vaj hoy na.akhon pray 95`vaj hoy.akhon ami ki korbo?amar pa ki vaj hobe? 2 year hoe gase accident er.

    Reply
    • Bangla Health

      June 28, 2012 at 8:03 am

      একবার ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন যে ব্যথা আছে কিনা কিংবা হাড় ঠিক মতো জোড়া লেগেছে কিনা। তবে আমাদের মনে হচ্ছে আপনার পেশিতে টান পড়ছে। সেজন্য স্পেশাল ফিজিক্যাল থেরাপি নিলে এবং তাদের শিখিয়ে দেয়া কিছু ব্যায়াম করলে পায়ের জড়তা কেটে যেতে পারে।

      Reply
  9. Abir

    June 24, 2012 at 7:49 pm

    Sir,apnar post kora khaddo talika ami bujta parsina please ak to bujhia bolun. R proti bar rice ar shathe konti koto tuko pariman khabo please please janan.ami dine 3 bar khai. Sir, please akto sahajjo korun jate ami ai roga patla shastho theke mucti pai.

    Reply
    • Bangla Health

      June 28, 2012 at 8:21 am

      কোন খাদ্য তালিকার কথা বলছেন? সেই পোস্টে মন্তব্য করলে বুঝতে সুবিধা হত।
      ৩ বার খেলে আপনি ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট খাবার খেতে পারবেন না। কমপক্ষে ৫/৬ বার খেতে হবে, ঘড়ি ধরে ধরে ২/৩ ঘন্টা পর পর। এমন খাবার বেশি খাবেন যাতে অল্প খাবারে বেশি পুষ্টি। তবে ব্যায়াম না করলে শুধু ফ্যাট বাড়বে বেশি।
      ভাত বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। খেলেও ব্রাউন রাইস খাওয়া উচিত। ময়দা, সুগার, ক্যাফেইন, এলকোহল, নেশা থেকেও দূরে থাকা উচিত।
      মাংশ দিয়ে রুটি খেতে পারেন। ভাতের সাথে ডাল এবং মাছ। দইয়ের সাথে ফল। শাকসবজি, দুধ, কলা, ডিম- এসব দিয়েও পছন্দসই আইটেম বানিয়ে নিতে পারেন।

      Reply
  10. রাজ ঘোষাল

    August 25, 2012 at 5:15 pm

    আমার উচ্চতা ৫’১১” , কিন্তু ওজন ১০৫ কেজি। আমার শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পেট ভীষণ বড় ও বিসদৃশ। দেখতে ভীষণ বাজে লাগে। এজন্য প্রতিনিয়তই বিবিধ শারীরিক তথা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। জীবিকা জনিত অসুবিধের কারনে এবং সময়ের অভাবে জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করা সম্ভব নয়। ওজন কমাতে সপ্তাহে কদিন, কখন, কিভাবে এবং কতক্ষণ দৌড়ালে তাড়াতাড়ি সুফল পাব? দৌড়ানর বদলে হাঁটলে কি পেট কমানো যাবে? খাওয়া দাওয়ার নিয়ন্ত্রণই বা কেমন হবে? অনুগ্রহ করে সঠিক পরামর্শ দানে বাধিত করবেন। ধন্যবাদ।

    Reply
    • Bangla Health

      September 21, 2012 at 12:48 am

      প্রথমে হাঁটা দিয়েই শুরু করতে পারেন। ভোর বেলা না খেয়ে ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটতে পারেন। ধীরে ধীরে গতি বাড়াবেন এবং এক সময় দৌড়াবেন। একদিন পর পর এটা করতে পারেন, আর মাঝের দিনগুলোতে জিমে হালকা ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম। এতে ওজন দ্রুত কমবে।
      খাবেন ৬ বার। ২/৩ ঘন্টা পর পর খুব অল্প অল্প করে। সাদা ভাত, ময়দা, সুগার, সোডিয়াম, ক্যাফেইন- এসব এড়িয়ে চলবেন।

      Reply
  11. Suranjan ghosh

    January 2, 2018 at 8:45 pm

    সকালে ছোটার আগে জল বা কিছু খাওয়া ভালো না খারাফ??
    না খালি পেটেই দৌড়ানো ভালো একটু বলুন–

    Reply
    • Bangla Health

      January 7, 2018 at 10:05 pm

      যদি ওজন কমাতে চান তাহলে কিছু না খাওয়াই ভালো। তবে একটু পানি খেতে পারেন ইচ্ছে হলে। খুব বেশি নয় যাতে পেট আবার ভারী হয়ে যায়, তাহলে দৌড়াতে সমস্যা হবে। আর দৌড়ানোর সময়েও পানি খেতে ইচ্ছে করতে একটু করে গলা ভিজিয়ে নিতে পারেন।

      Reply
  12. আলতাফ

    December 11, 2018 at 10:36 am

    আমি রাএে খাওয়ার ৩০ মিনিট পর দৌড়াতে যাই এতে কি কোন সম্যাসা হবে?

    Reply
    • Bangla Health

      December 25, 2018 at 3:11 am

      খাওয়ার দেড়-দুইঘণ্টার মধ্যে শারীরিক ব্যায়াম না করাই ভালো। আরেকটু সময় নিন। তবে দৌড়ানোটা ভোরবেলা ন খেয়ে হলে ভালো হয়, যদি ওজন কমাতে চান।

      Reply
  13. Royal Tiger BMC

    January 12, 2019 at 8:58 pm

    রুটিন টা অনেক ভালো ছিল।

    Reply
  14. Subarna Laha

    February 5, 2019 at 8:27 am

    Amr saskosto er problem ache.dourano suru korechi..ektu doureyei hapiye jachchi..tobe hatle serkm kono problem hochche na..ki korbo??r amr height 152cm r weight 58.

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health – Bangla Library – Bangla PDF

Return to top